জেলা পরিষদ দফতরের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে অতিরিক্ত জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন শারিরীক প্রতিবন্ধী আব্দুল মনাফ।
অভিযোগের কারণ কী? আব্দুল জানান, তাঁর বাড়ি করিমগঞ্জ জেলার আছিমগঞ্জে। হাঁটতে পারেন না। মাটিতে ঘষটে চলতে হয়। সরকারি স্তরে প্রতিবন্ধীদের অনুদান হিসেবে মাসে ৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তারই আর্জি নিয়ে জেলা পরিষদ দফতরে গিয়েছিলেন আব্দুল। তাঁর অভিযোগ, গত ৮ মাস ধরে বার বার ওই দফতরে গেলেও টাকা মেলেনি। কখনও তাঁর সঙ্গে সরকারি কর্মীরা ঠিকমতো কথাই বলেননি, কখনও বা বলা হয়েছে তাঁর টাকা ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যাঙ্কে গিয়ে আব্দুল জানেন, জেলা পরিষদের তরফে এমন কোনও টাকা তাঁর নামে জমা পড়েনি। তাঁর বক্তব্য, তিনি একাই শুধু নয়, এমনই পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন আরও অনেকেই। জনপ্রতিনিধিদের কাছে নালিশ ঠুকলেও লাভ হয়নি।
শেষ ভরসা হিসেবে অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে হাজির হন আব্দুল। তাঁর ঘরে ঢুকেই জেলা পরিষদের কর্তা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। জানান, কী ভাবে মাসের পর মাস তাঁদের সঙ্গে এমন অমানবিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এ নিয়ে জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন অতিরিক্ত জেলাশাসক।
পরে আব্দুল বলেন, ‘‘মাসে ৩০০ টাকায় এক জন মানুষের এক বেলা ভাতও জুটবে না। কিন্তু সরকার প্রতিবন্ধীদের জন্য তা দিচ্ছে। নিজেদের দাবি ছাড়ব কেন?’’ তিনি জানান, করিমগঞ্জ জেলায় প্রায় দেড় হাজার প্রতিবন্ধীর মাসিক অনুদান বন্ধ রয়েছে। করিমগঞ্জ জেলা পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েক জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গরমিল থাকার জন্য অনুদান দিতে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত তা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।