ধর্ষক বাবার মুক্তির দাবিতে পঞ্চকুলায় তাণ্ডবের ছবি। ছবি: পিটিআই।
জোড়া ধর্ষণ মামলায় গত ২৫ অগস্ট পঞ্চকুলার বিশেষ সিবিআই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংহ। তার পরেই তাঁকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার নিখুঁত পরিকল্পনা করেন তাঁর ভক্তেরা। বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) জানিয়েছে, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার বিভিন্ন অংশে তাঁর ভক্তগণ যে তাণ্ডব চালিয়েছিল তার পুরোটাই ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং এ জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ করেছিল ডেরা।
আরও পড়ুন: রাম রহিম সাম্রাজ্যের চমকে দেওয়া সব ছবি
পঞ্চকুলায় হিংসা ছড়ানোর পিছনে ডেরার প্রথম সারির সদস্য হানিপ্রীত ইনসান, আদিত্য ইনসান এবং সুরেন্দ্র ধীমান ইনসানের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, ডেরা কর্তৃপক্ষ পঞ্চকুলায় শাখার প্রধান চমকাউর সিংহের কাছে এই টাকা পাঠায়। টাকা খরচের দায়িত্বে ছিলেন চমকাউর। ঘটনার তদন্ত শুরু হওয়ার পরেই মোহালি জেলায় ঢাকোলির বাসিন্দা চমকাউর সিংহের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। পঞ্চকুলা ছাড়া পঞ্জাবের অন্যান্য অংশেও হিংসা ছড়ানোর জন্য টাকা দিয়েছিল ডেরা। হরিয়ানা পুলিশের ডিজি বি এস সান্ধুর কথায়, ‘‘চমকাউর ধরা পড়লেই গোটা সত্যিটা সামনে আসবে। তাঁর খোঁজ চলছে।’’ হিংসা ছড়ানোর পিছনে কোনও এক উদ্যানবিদেরও সক্রিয় ভূমিকা ছিল বলে মনে করছেন অফিসারেরা।
আরও পড়ুন: আইফেল টাওয়ার থেকে তাজমহল, কী নেই রাম রহিমের ডেরায়!
ওই দিন হরিয়ানার পঞ্চকুলায় ডেরা ভক্তদের লাগামছাড়া তাণ্ডবের বলি হয়েছিলেন ৩৮ জন। জখম ২৫০-রও বেশি। রাজ্য পুলিশের ডিজির সহযোগিতায় ওই ঘটনার জোরদার তদন্তে নেমেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গোয়েন্দারা। তাঁরাই জানিয়েছেন, সে দিনের ঘটনার পুরোটাই ছিল রাম রহিমের নিজের পরিকল্পিত ছক। তাঁর নাম নিয়ে তাণ্ডব চালানোটাও ছিল ওই ছকেরই অংশ।