National News

এক বছর জমায়েত-বক্তব্য নয়, বন্ডে সই করে তবে মুক্তি পাচ্ছেন কাশ্মীরের নেতারা

বন্ডের দ্বিতীয় শর্ত, ১০ হাজার টাকা অগ্রিম হিসেবে জমা দিতে হবে এবং বন্ডের কোনও শর্ত ভঙ্গ হলে আরও ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:১১
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস

৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর দু’মাসেরও বেশি পার হয়ে গিয়েছে। উপত্যকায় ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ। মুক্তি দেওয়া হচ্ছে আটক-গৃহবন্দি নেতা-নেত্রীদের। কিন্তু সেই মুক্তির শর্ত হিসেবে সই করানো হচ্ছে এমন একটি বন্ডে, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। এক বছর কাশ্মীর সংক্রান্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া বা বক্তব্য পেশ করতে পারবেন না— এমন শর্তে বন্ডে সই করার মিলছে মুক্তির স্বাদ। পাশাপাশি জমা দিতে হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা।

Advertisement

গত ৫ অগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে করা হয়েছে আলাদা কেন্দ্রশাসিত দু’টি অঞ্চল। ওই সময় থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ কয়েকশো নেতা-নেত্রীকে আটক করে রেখেছিল প্রশাসন। মোবাইল, ল্যান্ডলাইন, ইন্টারনেট, কেবল পরিষেবা বন্ধ করে কার্যত গোটা দেশ থেকে দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন ছিল উপত্যকা।

সেই উত্তাপ কমার পর থেকে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়েছে। কিছুটা হলেও ছন্দে ফিরেছে শ্রীনগর-সহ অধিকাংশ এলাকা। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে আটক নেতা-নেত্রীদের মুক্তির প্রক্রিয়া। কিন্তু সেই মুক্তির শর্ত ঘিরেই উঠেছে প্রশ্ন। একটি বন্ডে সই করিয়ে তার পর ছাড়া হচ্ছে ওই সব নেতা-নেত্রীদের।

Advertisement

বন্ডের বয়ান অনুযায়ী, ‘এক বছরের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে আমি কোনও বিবৃতি প্রকাশ করব না, কোনও সভা-জমায়েতে বক্তব্য পেশ করব না এবং কোনও র‌্যালি-মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করব না। কারণ তাশান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে।’

এই বন্ডেই সই করানো হচ্ছে মুক্তিপ্রাপ্ত নেতা-নেত্রীদের। ছবি: টুইটার থেকে

আরও পড়ুন: নজরে চিন, শব্দের পাঁচ গুণ বেশি গতির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পথে ভারত

বন্ডের দ্বিতীয় শর্ত, ১০ হাজার টাকা অগ্রিম হিসেবে জমা দিতে হবে এবং বন্ডের কোনও শর্ত ভঙ্গ হলে আরও ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে।

এই দুই শর্ত লেখা বন্ডে সই করলে তবেই ছাড়া পাচ্ছেন নেতা-নেত্রীরা। স্বাভাবিক ভাবেই এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাক স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলগুলি। সরব হয়েছে কাশ্মীরের বেশ কিছু সংগঠনও।

আরও পডু়ন: বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার ধাক্কা থাকবে আরও ৫ বছর, শক্তিশালী হবে ভারত, মত আইএমএফ-এর

গত সপ্তাহেই মহিলাদের প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার মেয়ে সুরাইয়া এবং মেয়ে সাফিয়া। সুরাইয়া ও সাফিয়া-সহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মুক্তির শর্ত হিসেবেও ওই বন্ডে সই করানো হয়েছে। পাশাপাশি মৌখিক ভাবেও তাঁদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে হয়েছে যে তাঁরা উপত্যকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন