ছত্তিসগঢ়ের রায়পুরের মন্দির
তিন সপ্তাহের বেশি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু খুচরোর আকাল কিছুতেই মিটছে না। এখনও এটিএমে বিস্তর লাইন। আদৌ কি টাকা মিলবে? লাইনে দাঁড়িয়ে সন্দিহান জনতা। এরই মাঝে ক্যাশলেস ব্যবস্থা জমিয়ে পসার বাড়াচ্ছে। ডিজিটাল, ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্টে মুখ ঢেকে গিয়েছে ই-পেমেন্ট নিয়ে হরেক বিজ্ঞাপনে।
ক্যাশলেস ইন্ডিয়া গড়ার আওয়াজ তুলেছেন নরেন্দ্র মোদী। খুবই ভাল কথা! কিন্তু বিশাল এই দেশের প্রত্যন্ত সব জনপদের কথা মাথায় রাখলে, দেশের ব্যাঙ্কিং পরিষেবার বর্তমান ক্ষমতা ধরলে, এই ডাক এই মুহূর্তে কতটা বাস্তব সম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আবার উল্টো দিকে বহু জায়গা থেকে সমর্থনও পাচ্ছেন মোদী। মোদীর পক্ষে সুখবর, এ বার স্বয়ং ভগবানও তাঁর ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে ‘সামিল হয়ে গেছেন’। অন্তত ছত্তিসগঢ়ের এক মন্দিরে তো বটেই। পকেটে খুচরো কম থাকলে এবার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সেখানে দক্ষিণা দিতে পারেন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভগবানের এমন নয়া পন্থায় বেশ অবাক সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, যে ভাবে খুচরোর আকাল ‘ভগবানের পাওনা’তেও থাবা বসাচ্ছে, তাতে কোনও রিস্ক না নিয়ে সোয়াইপ কার্ডের ব্যবস্থা রাখতে হচ্ছে ‘তাঁকেও’ ।
ছবি- ফেসবুক
ছত্তিসগঢ়ের রায়পুরে এই মন্দিরে দেখা যাচ্ছে এমন অভিনব দৃশ্য। প্রণামি বাক্সের সঙ্গে রয়েছে একটি সোয়াইপ যন্ত্র। পাশে বসে রয়েছেন মন্দিরে সেবায়েত। আর প্রণামি বাক্সে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা রয়েছে “জয় গঙ্গা, বজরঙ্গী ধাম সে সোওয়াইপ .. সে দান স্বীকার কিয়ে যাতে হুয়ে…। ” ভক্তদের যদি খুচরো দিতে অসুবিধা হয়, তা হলে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে দক্ষিণা দিতে পারবেন। ডিমনেটাইজেশনে যাতে ঈশ্বর ভক্তিতে কোনও কার্পণ্য না হয়, এই জন্যই এমন ব্যবস্থা।
ছবি- ফেসবুক
আরও পড়ুন- হাহাকারের মাস পয়লা, ভোর না হতেই লাইন দিয়ে শূন্য হাতে ফেরা