—ফাইল চিত্র।
জাভা সাগরে লায়ন এয়ার-এর যে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল, সেটি ছিল বোয়িং সংস্থার তৈরি ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান। ভারতে জেট ও স্পাইসজেট— এই দুই বিমানসংস্থা এই মুহূর্তে ৮টি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ব্যবহার করছে। আগামী দিনে আরও ৪০০টি ম্যাক্স বিমান কেনার বরাতও দিয়েছে এই দুই সংস্থা।
লায়ন এয়ার-এর দুর্ঘটনার তদন্তের পরে বিশ্ব জুড়ে সমস্ত বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানে একটি বিশেষ ত্রুটির কথা নজরে এনেছে মার্কিন দেশের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ও বোয়িং সংস্থা। প্রাথমিক তদন্তের পরে আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিশ্বে যেখানে যত এই ম্যাক্স বিমান উড়ে বেড়াচ্ছে, সেখানে যে কোনও সময়ে একই ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে একই ধরনের দুর্ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ভারতের আকাশে ডিজিসিএ-র পক্ষ থেকে জেট ও স্পাইসজেটকে আলাদা করে সতর্ক করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে।
এ দিকে বুধবারে লায়ন এয়ারের আর একটি বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। সংবাদ সংস্থা জানায়, সুমাত্রা দ্বীপ থেকে ১৪৩ জন যাত্রীকে নিয়ে জাকার্তা আসার কথা ছিল বিমানটির। সুমাত্রার ব্যাঙ্কুকু বিমানবন্দরের রানওয়ের দিকে গড়িয়ে যাওয়ার সময়ে বিমানের বাঁ দিকের ডানা স্তম্ভে ধাক্কা মারে। যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয় বিমান থেকে। তবে এটি ম্যাক্স বিমান ছিল কি না, জানা যায়নি।