Guidelines for Pilots

বিমান মাঝআকাশে দুর্যোগের মধ্যে পড়লে কী ভাবে সামাল দিতে হবে? পাইলটদের জন্য নতুন নির্দেশিকা ডিজিসিএ-র

দুর্যোগের মধ্যে পড়ে সম্প্রতি দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানের নাক ভেঙে গিয়েছিল। এই ধরনের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কী করণীয় পাইলটদের, তা নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল ডিজিসিএ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৫ ২০:২৩
Share:

মে মাসে মাঝআকাশে দুর্যোগের মধ্যে নাক ভেঙে যায় ইন্ডিগোর একটি বিমানের। —ফাইল চিত্র।

বিমান মাঝআকাশে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে পড়লে কী করণীয়, তা নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ামক সংস্থা (ডিজিসিএ)। অপ্রত্যাশিত কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে ‘নির্ধারিত সূচি মেনে চলার’ বদলে সুরক্ষা ব্যবস্থাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলেছে ডিজিসিএ। এ ধরনের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে বিমানকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য পাইলটদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথে প্রতিকূল আবহাওয়ার কবলে পড়ে একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। তাতে কপ্টারের চালক-সহ সাত জনের মৃত্যু হয়। তার আগে দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানের মাঝআকাশে দুর্যোগের কবলে পড়েছিল। প্রতিকূল আবহাওয়ায় বিমানটির নাক ভেঙে গিয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত যাত্রীদের নিয়ে নিরাপদে অবতরণ করে বিমানটি। পর পর এই ঘটনাগুলির মাঝে নতুন নির্দেশিকা জারি করল ডিজিসিএ।

বৃষ্টির সময়ে বা ভেজা রানওয়েতে রাতে বিমান ওঠানামার সময়ে দৃষ্টিভ্রম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সমস্যা মোকাবিলা করতে বিমান ওঠা-নামার সময়ে পাইলটদের যন্ত্রের সাহায্যে ভিজ়্যুয়াল কিউ (সংকেত চিহ্ন) দ্বিতীয় বার যাচাই করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, বিমানকর্মীদের ‘নির্ধারিত সময়সূচি মেনে চলার চেয়ে সুরক্ষার উপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে’ আরও সতর্কতা বজায় রাখারও পরামর্শ দিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ামক সংস্থা। একই সঙ্গে, পরিস্থিতি বুঝে পাইলটদের অন্য পথে বিমানটি ঘুরিয়ে নেওয়ার বা যেখান থেকে রওনা দিয়েছে সেখানেই ফিরে যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কোন কোন পরিস্থিতিতে বিমানকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে, তারও একটি ধারণা দিয়েছে ডিজিসিএ। নির্দেশিকা অনুসারে, বিমান তীব্র ঝাঁকুনির মধ্যে পড়লে, বাতাসের গতিবেগ হঠাৎ পরিবর্তন হলে, বিমানের বাইরের দিকে বরফ জমতে শুরু করলে, দৃশ্যমানতা আচমকা কমে গেলে বা বজ্রপাতের কারণে যাত্রাপথে বাধা তৈরি হলে বিমানের যাত্রাপথ বদলের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মনে করছে ডিজিসিএ। সাধারণ বজ্রগর্ভ মেঘের কারণে বাতাসের গতিবেগে বদল, শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। ঝুঁকি এড়াতে এই ধরনের মেঘের নীচ দিয়ে বিমান না-নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার সময়ে পাইলটেরা যাতে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-র সঙ্গে আরও বেশি করে যোগাযোগ রাখেন, তার উপরেও জোর দিয়েছে ডিজিসিএ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement