করাচিতে লশকরের সভা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি এবং সীমান্তপারের সন্ত্রাস পরিকাঠামোয় ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’ বন্ধ হতেই আবার সক্রিয়তা শুরু করল লশকর-এ-ত্যায়বা এবং তার ঘনিষ্ঠ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি। নতুন গজিয়ে ওঠা একটি সংগঠনের পতাকা নিয়ে করাচিতে প্রকাশ্য জনসভা করে হুঁশিয়ারি দেওয়া হল ভারতকে!
দিফা-ই-ওয়াতন কাউন্সিল (ডিডব্লিউসি) নামে একটি সংগঠনের ব্যানার-পতাকা নিয়ে বুধবার পাকিস্তানের বাণিজ্য রাজধানীতে ওই সভা করে লশকর-সহ কয়েকটি নিষিদ্ধ সংগঠন। সেখানে হাজির ছিলেন কয়েক জন কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতাও। ভারতকে হুমকির পাশাপাশি তাঁরা পাক সেনার স্তুতিতে মুখর ছিলেন। ওই সন্ত্রাসবাদী নেতাদের দাবি, সীমান্ত সংঘাতে জয়ী হয়েছে জেনারেল আসিম মুনিরের বাহিনী!
‘নিষিদ্ধ’ লশকর এবং তার ‘সামাজিক শাখা’ জামাত-উদ-দাওয়ার পাশাপাশি কট্টরপন্থী গোষ্ঠী আহল-এ-সুন্নতওয়াল জামাতের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় উপস্থিতি দেখা গিয়েছে করাচির ওই সভায়। ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ লশকরের ওই সভায় পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্তও ছিল। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জবাবে গত ৬ মে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাক পঞ্জাবে ন’টি সন্ত্রাসবাদী ডেরায় ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুরে’ নিহতদের মধ্যে রয়েছে মুদস্সর খাদিয়ান খাস ওরফে মুদস্সর ওরফে আবু জুন্দলের মতো কুখ্যাত লশকর সন্ত্রাসবাদী। পাক পঞ্জাবের মুরিদকেতে লশকরের সদর দফতর মার্কাজ তইবাও ধ্বংস হয়েছে ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে।