North India Weather

উত্তর ভারতে জাঁকিয়ে শীত, কুয়াশার দাপটে বিপর্যস্ত দেশবাসী, বিঘ্নিত ট্রেন, বিমান চলাচল

রাজধানী-সহ উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্য কুয়াশার প্রকোপে নাজেহাল হয়ে রয়েছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, সেই আশায় তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:০৬
Share:

ভোরের দিকে কুয়াশা বেশি থাকায় বিপদে পড়েছেন পথযাত্রীরাও। ফাইল চিত্র।

তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে উত্তর ভারতে। এর ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে রেল এবং বিমান চলাচল। কুয়াশা বাড়তে থাকায় পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন উত্তর ভারতের বাসিন্দারা। এর ফলে বিভিন্ন রাজ্যে সাবধানতার জন্য নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে।

Advertisement

দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (ডিআইএএল)-এর তরফে জানানো হয়েছে যে বারাণসী, চণ্ডীগড় এবং লখনউয়ে কুয়াশার পরিমাণ বেশি থাকার কারণে বিমানবন্দরে ৩টি বিমান অবতরণ করতে পারেনি। সেই বিমানগুলিকে ফের ঘুরপথে দিল্লি নিয়ে আসা হয়েছে। বিপর্যস্ত হচ্ছেন রেলযাত্রীরাও। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং বিহার থেকে দিল্লির পথে আসা ট্রেনগুলিও কম দৃশ্যমানতার কারণে দ্রুত পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি ট্রেন কমপক্ষে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা দেরি করে রাজধানীতে পৌঁছেছে।

ভোরের দিকে কুয়াশা বেশি থাকায় বিপদে পড়েছেন পথযাত্রীরা। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কুয়াশা থাকার কারণে খালি চোখে মাত্র ৫০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল। তাই পথ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকেই। মঙ্গলবার উত্তর ভারতে ৩ জন মারা গিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৪০ জন।

Advertisement

বিভিন্ন রাজ্যে পথ দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ কমানোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে। নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ গতিবেগ ১০০ কিমি/ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৭৫ কিমি/ ঘণ্টায় নিয়ে আসা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে ছাড়া নয়ডার অন্যান্য রাস্তায় গাড়ি চালালে চালকেরা প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ কিমি পর্যন্ত গতিবেগে চালাতে পারেন। নির্দেশ না মেনে চললে আইনি পদ্ধতিতে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। রাত বাড়লে কুয়াশা বাড়ছে বলে বাস চলাচলের ক্ষেত্রেও নয়া নিয়ম চালু করার চিন্তাভাবনা করছে উত্তরপ্রদেশের পরিবহণ দফতর। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতে বাস চলাচলের ক্ষেত্রেও সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্কুলপড়ুয়া-সহ শিক্ষকেরা যেন কোনও পথ দুর্ঘটনার কবলে না পড়েন, সে দিকে খেয়াল রেখে স্কুল খোলার সময় পরিবর্তন করার ঘোষণা করেছে পঞ্জাব সরকার। ২০ ডিসেম্বর থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল সকাল ১০টা থেকে খোলা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। রাজধানী-সহ উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং উত্তর ভারতের অন্যান্য রাজ্য কুয়াশার প্রকোপে নাজেহাল হয়ে রয়েছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, সেই আশায় তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন