বন্ধে ঝামেলা হল পেঙেরিতে

পেঙেরিতে পুলিশের গুলি ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর জেরে তিনসুকিয়া বন্‌ধ ডেকেছিল অসম চা-গোষ্ঠী ছাত্র সংগঠন ‘আসা’ ও আদিবাসী ছাত্র সংগঠন ‘আটসা’। আজ বন্‌ধের মধ্যেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল পেঙেরি। হল ভাঙচুর, মারপিট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০২:২৪
Share:

পেঙেরিতে পুলিশের গুলি ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর জেরে তিনসুকিয়া বন্‌ধ ডেকেছিল অসম চা-গোষ্ঠী ছাত্র সংগঠন ‘আসা’ ও আদিবাসী ছাত্র সংগঠন ‘আটসা’। আজ বন্‌ধের মধ্যেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল পেঙেরি। হল ভাঙচুর, মারপিট।

Advertisement

গত কাল পেঙেরি থানার সামনে বিক্ষোভরত আদিবাসীদের হঠাতে গুলি চালায় পুলিশ। গুলি লেগে একটি বিদ্যুৎবাহী তার ছিঁড়ে জনতার উপরে পড়ে। তখন বৃষ্টি পড়ছিল। তড়িদাহত হয়ে ও গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে ৯ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে মারা যান আরও দু’জন। এখন ডিব্রুগড় মেডিক্যাল কলেজ ও তিনসুকিয়ার হাসপাতালে ১৫ জন চিকিৎসাধীন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তাদের মধ্যে পাঁচ জনের গুলি লেগেছে।

মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা, গুরুতর জখমদের ১ লক্ষ টাকা ও কম জখমদের ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। গগৈ জানান, জেলাশাসকের রিপোর্ট আসার পরে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। বিজেপিও নিহতদের পরিবারগুলিকে দলীয় তহবিল থেকে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

Advertisement

আজ বনমন্ত্রী তথা চা-গোষ্ঠীর নেতা এটোয়া মুণ্ডা পেঙেরিতে যান। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও পেঙেরি যান। আসা ও আটসা এ দিন তিনসুকিয়া বন্‌ধ ডেকেছিল। তার মধ্যেই ফের এক দল আদিবাসী কার্ফু অগ্রাহ্য করে থানা আক্রমণ করে। রাস্তায় কয়েকটি দোকানে লুঠপাঠ চালানো হয়। বন্‌ধ সমর্থকদের ঠেকাতে গিয়ে মহিলা-সহ কয়েক জন জখম হন। প্রতিবাদকারীরা পাথর ছুঁড়ে ও বাঁশের ঘায়ে কয়েকটি গাড়িও ভাঙেন। মার্গারিটাতেও পথ অবরোধ হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন