Kafil Khan

ভাইকে গুলি, মাথা নোয়াব না বললেন সেই ডাক্তার কাফিল খান

চলতি বছরের এপ্রিলেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন কাফিল। এ বার সেই চিকিৎসকের ভাই কাসিফ জামিল অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা গুলি করে পালাল। তা-ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৮ ১৪:০০
Share:

সেই চিকিৎসক কাফিল খান।ফাইল চিত্র।

গোরক্ষপুরের বাবা রাঘব দাস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক কাফিল খানকে মনে আছে? যিনি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করেছিলেন শিশুদের বাঁচাতে। অথচ গত বছরের অগস্টের শিশুমৃত্যুর ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে আট মাস হাজতবাস করতে হয় সেই কাফিলকেই।তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে।

Advertisement

চলতি বছরের এপ্রিলেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন কাফিল। এ বার সেই চিকিৎসকের ভাই কাসিফ জামিলকে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীরা গুলি করে পালাল। তা-ও গোরক্ষনাথ মন্দির থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে! একসময়ে যেখানে থাকতেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সূত্রের খবর, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। লখনউয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন কাসিফ জামিল।

বছর চৌত্রিশের জামিল পেশায় এক জন ব্যবসায়ী। রাতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আচমকাই একটি বাইকে চড়ে অজ্ঞাতপরিচয় দুই দুষ্কৃতী জামিলকে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি চালায়। ঘাড়ের কাছে গুলি লাগে। মারাত্মক রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করে নেওয়া জরুরি ছিল। কিন্তু অভিযোগ, একাধিক হাসপাতাল জামিলের চিকিৎসা করতে অস্বীকার করে। আর তাতেই গুলি বার করতে দেরি হয়ে যায়।

Advertisement

আরও খবর: লোকসভায় ‘বুয়া’ মায়াবতীর সঙ্গেই জোট, ঘোষণা অখিলেশের

দলে মোদী আর যোগী শুধু দুর্নীতিগ্রস্ত নন! বলছেন বিজেপি সাংসদ​

কাফিল জানিয়েছেন, তাঁর ভাইকে বেসরকারি হাসপাতালের বদলে দু’টি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে পুলিশ। কিন্তু সদর হাসপাতাল এবং বিআরডি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। ফের তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে। কাফিলের কথায়, ‘‘ভাইয়ের ঘাড়ে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করে নেওয়া সবচেয়ে জরুরি ছিল। আমি নিজে বেসরকারি হাসপাতালের এক জন নামী সার্জেনকে চিনতাম। তাই বেসরকারি হাসপাতালে ভাইকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কারণ ওঁর প্রাণ বাঁচানো জরুরি ছিল। কিন্তু আমাদের হেনস্থার শিকার হতে হয় বার বার। শেষে বেসরকারি হাসপাতালেই ওঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে।’’ এ রকম একটা ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কারও শত্র্রুতা ছিল কি না, তা নিয়ে তাঁদের কোনও ধারণা নেই বলেই জানিয়েছেন কাফিল।

সোমবার সকালেই একটি টুইটবার্তায় কাফিল জানান, ‘কিছুতেই মাথা নোয়াব না।’ এই টুইটের পরই ঘনীভূত হয়েছে সন্দেহ। তবে কি কাফিলের উপর রাগ থেকেই তাঁর ভাইকে গুলি করা হয়েছে? না কি ব্যক্তিগত কোনও কারণেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কাফিলের ভাই? শুরু হয়েছে তদন্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন