ফুটপাথে কুকুর শোয়, বেফাঁস অভিজিৎ

সলমন খানকে নিয়ে বিতর্কের এমনিতেই শেষ নেই। এ বার সলমনের হয়ে বেফাঁস টুইট করে নয়া বিতর্ক বাধালেন গায়ক অভিজিৎ। আদালতের রায় ঘোষণার পর থেকেই সলমনকে ঘিরে নানা মন্তব্যে ছেয়ে গিয়েছিল টুইটার-ফেসবুক। কেউ বলেছেন, সলমন খান বহু সেবামূলক কাজ করেছেন। তাই তাঁর শাস্তি হওয়া অনভিপ্রেত। কেউ বা বলেছেন, তাঁর মতো অভিনেতার এমন সাজা হওয়া উচিত নয়। কিন্তু সেই সব কিছু ছাপিয়ে যান অভিজিৎ। তিনি টুইট করেন, ‘‘কুত্তা রাস্তায় শোবে, কুত্তার মতোই মরবে। রাস্তা গরিবদের বাপের সম্পত্তি নয়। এক বছর আমার কোনও বাড়িঘর ছিল না, কখনও রাস্তায় শুইনি।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৫ ০৪:৪৪
Share:

সলমন খানকে নিয়ে বিতর্কের এমনিতেই শেষ নেই। এ বার সলমনের হয়ে বেফাঁস টুইট করে নয়া বিতর্ক বাধালেন গায়ক অভিজিৎ।

Advertisement

আদালতের রায় ঘোষণার পর থেকেই সলমনকে ঘিরে নানা মন্তব্যে ছেয়ে গিয়েছিল টুইটার-ফেসবুক। কেউ বলেছেন, সলমন খান বহু সেবামূলক কাজ করেছেন। তাই তাঁর শাস্তি হওয়া অনভিপ্রেত। কেউ বা বলেছেন, তাঁর মতো অভিনেতার এমন সাজা হওয়া উচিত নয়। কিন্তু সেই সব কিছু ছাপিয়ে যান অভিজিৎ। তিনি টুইট করেন, ‘‘কুত্তা রাস্তায় শোবে, কুত্তার মতোই মরবে। রাস্তা গরিবদের বাপের সম্পত্তি নয়। এক বছর আমার কোনও বাড়িঘর ছিল না, কখনও রাস্তায় শুইনি।’’

এখানেই থামেননি অভিজিৎ। নিজের মন্তব্যের সমর্থনে একের পর এক টুইট করতে থাকেন। কিছু ক্ষণ পর তিনি ফের টুইটারে লেখেন, ‘‘মুম্বইয়ের ফুটপাথে শোয়ার শখ হয়েছে??? কেন নিজের গ্রামে গিয়ে শুতে পারছ না, সেখানে তো গাড়ি চাপা পড়ে মরার ভয় নেই...।’’ এর পর লিখলেন, ‘‘আত্মহত্যা করা যেমন অপরাধ, সে রকম রাস্তায় শোয়াও... ফিল্মি দুনিয়ার ৮০ শতাংশ লোকই কষ্ট করে স্টারডম পেয়েছেন, কিন্তু কেউ কখনও রাস্তায় শোয়নি।’’

Advertisement

অভিজিতের এ হেন মন্তব্যে উত্তাল দেশ। প্রতিবাদ জানিয়ে অনেকেই বলেছেন— বন্ধুর পাশে দাঁড়ানো এক কথা, কিন্তু তাই বলে অন্য মানুষ সম্পর্কে, দারিদ্র সম্পর্কে এ রকম কুৎসিত মন্তব্য করতে পারেন না উনি। সোনাক্ষী সিন্হা বরাবরই সলমনের ভাল বন্ধু হিসেবে পরিচিত। অভিজিৎ তাঁর মন্তব্যে সোনাক্ষীকে ট্যাগ করেছিলেন। কিন্তু তাতে যে তাঁর সায় নেই, তা টুইটারেই স্পষ্ট করে দেন অভিনেত্রী। লেখেন, ‘‘আমি আমার বন্ধুকে সমর্থন করি। কিন্তু কখনওই এ ধরনের অসংবেদনশীল বক্তব্যকে সমর্থন করি না। অভিজিৎ স্যার, দয়া করে আপনার মন্তব্যে আমাকে ট্যাগ করবেন না।’’ টি‌ভি চ্যানেলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে রীতিমতো কথা কাটাকাটি বেধে যায় অভিজিতের। দিনের শেষে বেগতিক দেখে অভিজিৎ আবার টুইট করে দাবি করেন, তিনি আসলে বলতে চেয়েছিলেন, ‘‘এক জন মানুষের কুকুরের মতো মৃত্যু হওয়া উচিত নয়।’’ অর্থাৎ তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আর সেই কারণেই টুইটগুলো মুছে দিতেও রাজি হননি গায়ক।

একই রকম বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে পড়তে হয়েছে ডিজাইনার ফারহা আলি খানকেও। তিনি টুইট করেছিলেন, ‘‘কেউ যদি রাস্তায় শুয়ে না থাকত, তা হলে সলমন কাউকে চাপা দিতেন না। মানুষকে ঘরবাড়ি দিতে না পারার জন্য সরকার দায়ী।’’ পাল্টা জবাবটাও টুইটারেই পান ফারহা। —‘‘হ্যাঁ। গাড়ি চালানোর জন্যও রাস্তা রয়েছে। ফুটপাথ নয়।’’

তবে ফারহার মন্তব্য আর থানা অবধি গড়ায়নি। কিন্তু রেহাই পাননি অভিজিৎ। তাঁর বিরুদ্ধে জোতওয়ারা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন জয়পুরের এক সমাজকর্মী সুরজ সোনি। যদিও থানার তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত হচ্ছে বিষয়টির। এখনও এফআইআর হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন