India-US Trade Deal

‘বন্ধু’ ভারতের উপর একাধিক কারণে হতাশ ট্রাম্প! নিজেই জানালেন তিন কারণ, হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিল আর একটির

বন্ধু ভারতের উপর একাধিক কারণে ‘হতাশ’ ডোনাল্ড ট্রাম্প। হতাশার তিনটি কারণ নিজেই প্রকাশ্যে এনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর একটি কারণের ইঙ্গিত দিলেন হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৫ ১১:০৭
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

বন্ধু ভারতের উপর একাধিক কারণে ‘হতাশ’ ডোনাল্ড ট্রাম্প। হতাশার তিনটি কারণ নিজেই প্রকাশ্যে এনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর একটি কারণের ইঙ্গিত দিলেন হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট। বুধবার তিনি দাবি করেন, দীর্ঘ আলোচনার পরেও আমেরিকা-ভারত বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। তাই নয়াদিল্লির উপর হতাশ ট্রাম্প। কেভিনের অনুমান, এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই ভারতীয় পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প।

Advertisement

বুধবার বিকেলে (ভারতীয় সময় অনুসারে) ভারতের উপর শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। সমাজমাধ্যমে এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে ভারতকে ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করলেও নয়াদিল্লি চড়া হারে শুল্ক নেয় বলে অভিযোগ তোলেন ট্রাম্প। তাঁর এই অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও বার বার ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ব্যবসা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। রাশিয়া থেকে ভারত অস্ত্র এবং জ্বালানি কিনছে, সে কথাও ট্রাম্পের পোস্টে উল্লেখ করা হয়। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়িক সম্পর্কের জন্য নয়াদিল্লির উপর ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি একটি ‘জরিমানা’ (পেনাল্টি) চাপানো হবে বলেও ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে সেই জরিমানা কী হতে পারে, তা সমাজমাধ্যমে করা পোস্টে উল্লেখ করেননি তিনি।

বুধবার পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি সংক্রান্ত ঘোষণার পরে হোয়াইট হাউসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ট্রাম্প। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প আরও এক বার ‘ব্রিক্‌স’ গোষ্ঠীর উপর ক্ষোভ উগরে দেন। মনে করিয়ে দেন যে, এই গোষ্ঠীর সদস্য ভারত। তিনি বলেন, “ব্রিক্‌স মূলত আমেরিকা-বিরোধী একটা গোষ্ঠী এবং ভারত এর সদস্য। এটা ডলার (আমেরিকার মুদ্রা)-এর উপর একটা আঘাত। আমরা কাউকে ডলারের উপর আঘাত করতে দেব না।”

Advertisement

চলতি মাসের গোড়ায় ব্রাজ়িলের রিও ডি জেনেইরো শহরে ‘ব্রিক্‌স’ সম্মেলন আয়োজিত হয়। সেখানে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ওই সম্মেলন শেষে ৩১ পাতার একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ‘ব্রিক্‌স’। ওই বিবৃতিতে ১৩ জুন থেকে ইরানের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের নিন্দা জানানো হয়। যদিও আমেরিকা বা ইজ়রায়েলের নামের উল্লেখ ছিল না সেখানে। বিবৃতিতে উঠে আসে শুল্কের প্রসঙ্গও। ‘ব্রিক্‌স’ জানায়, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ, তা সে নির্বিচারে শুল্ক বৃদ্ধি করাই হোক বা অন্য কোনও ঘোষণা, এগুলি বিশ্ব বাণিজ্যকে আরও পিছিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রেও সরাসরি কোনও দেশের নামোল্লেখ ছিল না। ‘ব্রিক্‌স’-এর ওই যৌথ বিবৃতির পরেই ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে এক পোস্টে সরাসরি নিশানা করেন ‘ব্রিক্‌স’কে। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ব্রিক্‌স-এর আমেরিকা-বিরোধী নীতির সঙ্গে কোনও দেশ যুক্ত হলে তাদের উপর বাড়তি ১০ শতাংশ কর চাপানো হবে। এর কোনও ব্যতিক্রম হবে না।” তবে এখনও পর্যন্ত সেই বাড়তি শুল্ক আরোপ করেনি আমেরিকা।

তবে ট্রাম্প এবং হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য, বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে তেমন অগ্রগতি না-হওয়া, ভারতের চড়া শুল্ক আরোপ এবং নয়াদিল্লির ‘আমেরিকা-বিরোধী ব্রিক্‌স’ গোষ্ঠীর হওয়া— মূলত এই চার কারণে ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement