National News

পার্টি সেরে বাড়ি ফেরার পথে ঠাণেতে গর্তে পড়ে মৃত এক

পুরকর্মীরা জানিয়েছেন, গাড়ির চালকদের সতর্ক করতে ওই গর্তটির আগে কিছু বাধা রাখা ছিল, যা দেখে আগেভাগেই গাড়ির গতি কমিয়ে আনতে পারেন গাড়ির চালকরা। কিন্তু গাড়ির গতি বেশি থাকায় তা সম্ভবত সচিনের নজর এড়িয়ে যায়। কারণ, সেখানে কোনও রিফ্লেক্টর (প্রতিফলক) ছিল না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ঠাণে (মহারাষ্ট্র) শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ১৬:২৭
Share:

থানের সেই দুর্ঘটনাস্থল। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

রাতে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টির পর গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় খোঁড়া একটি বিশাল গর্তের মধ্যে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক জনের। মহারাষ্ট্রের ঠাণে জেলার মুল্লাবাগ এলাকায়। পুলিশ জানাচ্ছে, মৃতের নাম সচিন কাকোদকর। বয়স ৩৭ বছর।

Advertisement

থানে জেলা পুলিশ জানাচ্ছে, মঙ্গলবার প্রায় শেষ রাতে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি সেরে গাড়ি চালিয়ে এর্টিগায় তাঁর বাড়িতে ফিরছিলেন সচিন। মুল্লাবাগে নীলকান্ত গার্ডেন্স পেরনোর পর ঘোড়বন্দর রোডের কাছে রাস্তায় ছিল ১৫ ফুট গভীর একটি গর্ত। থানে পুরসভার ওই কর্মীরা গর্তটি খুঁড়ে নিকাশির পাইপ বসাচ্ছিলেন।

পুরকর্মীরা জানিয়েছেন, গাড়ির চালকদের সতর্ক করতে ওই গর্তটির আগে কিছু বাধা রাখা ছিল, যা দেখে আগেভাগেই গাড়ির গতি কমিয়ে আনতে পারেন গাড়ির চালকরা। কিন্তু গাড়ির গতি বেশি থাকায় তা সম্ভবত সচিনের নজর এড়িয়ে যায়। কারণ, সেখানে কোনও রিফ্লেক্টর (প্রতিফলক) ছিল না।

Advertisement

আরও পড়ুন- দরজা বন্ধ করে বিয়েবাড়ি গেল বাবা-মা, আগুনে পুড়ে মারা গেল মেয়ে​

আরও পড়ুন- ‘ক্ষমা চাইব না’, বললেন প্রিয়ঙ্কা, কেন বাড়তি সময় হাজতে, রাজ্যের কৈফিয়ত চাইল কোর্ট​

ভোরেও স্বামী ঘরে ফেরেননি দেখে গাড়ির জিপিএস দেখে সচিনের স্ত্রী জানতে পারেন, গাড়িটি কোথায় দুর্ঘটনায় পড়েছে। সকাল সওয়া ৬টা নাগাদ সচিনের স্ত্রী খবর দেন দমকলকে।

১৫ ফুট গভীর গর্ত থেকে ক্রেন দিয়ে গাড়ি-সহ সচিনকে উপরে তুলে আনতে সময় লাগে প্রায় ৪৫ মিনিট। উপরে তুলে এনেই সচিনকে নিয়ে যাওয়া হয় বেথানি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা সচিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

রিজিওনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেল (আরডিএমসি)-এর প্রধান সন্তোষ কদম বলেছেন, ‘‘প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোগাড় করে এনে গাড়ি-সহ সচিনের দেহ তুলে আনতে একটু বেশি সময় লেগেছে। চার চাকার গাড়িকে ওই গর্ত থেকে তুলে আনার কাজটাও খুব সহজ ছিল না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন