গত বছর দেওঘরের বাবা বৈদ্যনাথ ধামের শ্রাবণী মেলায় পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের। এ বার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে আরও সতর্ক হল ঝাড়খণ্ড প্রশাসন।
আজ থেকে শুরু হয়েছে শ্রাবণী মেলা। চলবে এক মাস। প্রশাসনের অনুমান, লক্ষাধিক মানুষের ভিড় জমবে। দেওঘরের এসপি এ বিজয়লক্ষ্মী বলেন, ‘‘এ বার নিরাপত্তা আটোসাঁটো হয়েছে। পূণ্যার্থীরা নির্বিঘ্নে পুজো দিয়ে মেলা উপভোগ করতে পারবেন।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, মন্দিরে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় সোমবার। তাই ওই দিন ২৪ ঘণ্টা মেলা প্রাঙ্গণে চলবে ড্রোন- নজরদারি। সিসিটিভি ক্যামেরার বছরের তুলনায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। ১৪টি অস্থায়ী থানা ও ৬টি ট্রাফিক আউটপোস্ট তৈরি হয়েছে। মোতায়েন থাকবেন ৭ হাজার পুলিশকর্মী।
গত বছর মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত আলো ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও ঠিক মতো করা হয়নি। দেওঘরের ডিসি আরওয়া রাজকমল জানিয়েছেন, এ বছর মেলা চত্বর জুড়ে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি অস্থায়ী থানায় থাকবে মেডিক্যাল শিবির প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ বছর বাবা বৈদ্যনাথ ধামের ভিআইপি দর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শ্রাবণী মেলায় পূণ্যার্থীদের সুযোগ সুবিধার দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। জেটিডিসি-র জেনারেল ম্যানেজার রাজীব রঞ্জন জানান, রাজ্যে ১১টি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে। বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন ও পূণ্যার্থীদের দেওঘর যাওয়ার পথে থাকবে বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা। সেখানে ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকবে।