—ফাইল চিত্র।
নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের ফলে বাড়ি-ফ্ল্যাটের দাম যুব সমাজ সাধ্যের মধ্যে এসেছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আজ গুজরাতে সুরাত বিমানবন্দরের টার্মিনাল সম্প্রসারণের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, ‘‘আমাকে প্রশ্ন করা হয়, নোট বাতিলে কী উপকার হয়েছে? আপনারা যুবকদের জিজ্ঞাসা করুন, ওই সিদ্ধান্তের ফলে তাঁরা সাধ্যের মধ্যে দামে বাড়ি কিনতে পারছেন।’’ বাড়ি-ফ্ল্যাটের দাম কেন কমল তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি, ‘‘আগে আবাসন শিল্পে কালো টাকার সরবরাহ ছিল। কিন্তু নোট বাতিল এবং রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের পর কালো টাকার জোগান বন্ধ হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ইউপিএ আমলে ২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি করেছিল সরকার। কিন্তু তাঁর সরকার সাড়ে চার বছরে দেড় কোটি বাড়ি তৈরি করেছে। তাঁর দাবি, ‘‘কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার রয়েছে বলেই দেশ ৪.২৫ কোটি নতুন উদ্যোগপতি পেয়েছে।’’
আজ প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের প্রশংসা করাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। মোদী এমন সময় বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করলেন, যখন জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশন (ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশন) থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান পি সি মোহনন এবং সদস্য জে ভি মীনাক্ষী। পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পিছনে তাঁদের অন্যতম কারণ, ২০১৭-’১৮ সালের ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে দফতর কর্মসংস্থানের যে সমীক্ষা করেছিল, কেন্দ্র তা প্রকাশ করেনি। বরং তা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করেছে। যাতে ভোটের আগে সরকারের মুখ না পোড়ে।
প্রশাসনের একাংশের মতে, যুব সমাজের ক্রয় ক্ষমতার দিকটি মোদী সামনে এনেছেন। রোজগারের সুযোগ না থাকলে হাতে টাকা থাকে না— এ কথা বুঝিয়েই মোদী সুকৌশলে নসাৎ করতে চেয়েছেন মোহনন, মীনাক্ষীদের অভিযোগ।