artist

ছোট মূর্তিতে মাথায় হাত, খুশি শুধু কুনাল

কোভিডের কারণে মৃৎশীল্পীদের এই সঙ্কটের মধ্যেও খুশির ছোঁয়া শিলচরের এক কিশোরের মনে। এই প্রথম দুর্গাপ্রতিমা গড়ার অনুমতি পেয়েছে ঘরবরণ স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র কুনাল দাস।

Advertisement

  নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২০ ০৪:০৭
Share:

হাতেখড়ি: মূর্তির মাপ ছোট হওয়ায় এ বারই প্রথম দুর্গা গড়ার সুযোগ পেয়েছে শিলচরের কিশোর কুনাল দাস। নিজস্ব চিত্র

অসম সরকার জানিয়ে দিয়েছে, দুর্গাপুজোর মূর্তি এ বছর ৫ ফুটের বেশি হতে পারবে না। যাতে লরিতে ওঠাতে-নামাতে বেশি মানুষের প্রয়োজন না-হয়৷ এতে মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের৷ সাত মাস ধরে কাজ নেই৷ দুর্গাপুজোরও বরাত মেলেনি এখনও৷ এই সময়ে যদি এক-দু’টো পুজো কমিটি আসেও ৫ ফুটের মূর্তিতে কত আর দাম মিলবে! প্রত্যেকের স্টুডিয়োয় বাসন্তী প্রতিমা অবিক্রিত রয়ে গিয়েছে৷ বাসন্তীমূর্তি গড়ার কাজ শুরু হতেই করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকে, জারি হয় দেশজোড়া লকডাউন৷ সেই বাসন্তী প্রতিমাগুলিই দুর্গা হিসেবে নতুন করে সাজিয়ে তুলছিলেন শিলচরের মৃৎশিল্পীরা৷ কিন্তু সেগুলির উচ্চতা সব কটিরই ৫ ফুটের বেশি।

Advertisement

কোভিডের কারণে মৃৎশীল্পীদের এই সঙ্কটের মধ্যেও খুশির ছোঁয়া শিলচরের এক কিশোরের মনে। এই প্রথম দুর্গাপ্রতিমা গড়ার অনুমতি পেয়েছে ঘরবরণ স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র কুনাল দাস। তার বাবা কাজল দাসও মৃৎশিল্পী৷ ১০ বছর বয়স থেকেই পড়ার ফাঁকে বাবাকে কাজে সাহায্য করে কুনাল৷ লক্ষ্মী, সরস্বতী, বিশ্বকর্মার মূর্তি কবে থেকেই একা গড়ে নেয়৷ শখ ছিল, দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করবে৷ এত বড় মূর্তিতে বাবা ঝুঁকি নিতে পারছিলেন না৷ এ বার ছোট মূর্তির কথা হতেই সাহস করে কাঠামো বেঁধে নেয় ১৫ বছরের কিশোর৷ বাসন্তীপুজোর আগে থেকে রোজগার বন্ধ৷ আপত্তি করেননি কাজলবাবুও৷ বরং আশা করছেন, শেষ দিকে

পুজো করতে চাইবেন অনেকে৷ ছোট মূর্তি খুঁজবেন তাঁরা৷ তখন কুনালের দুর্গাই কোভিডে অভাবের মুখে পড়া সংসারে হাসি ফেরাতে পারে৷ আশাবাদী কুনালও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement