মহালয়ার আরও কয়েক দিন বাকি। কিন্তু দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল নীলাচল পাহাড়ের চুড়োয়। মন্ত্রপাঠের মধ্যে দিয়ে কৃষ্ণ নবমীতে কামাখ্যায় দুর্গাপুজো শুরু হয়। প্রাচীনকাল থেকে নিয়ম এমনই। পুজো শেষ হবে শুক্ল নবমীতে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানান, দশমী পর্যন্ত কামাখ্যায় দুর্গাপুজো চলবে।
এই পক্ষকাল ধরে প্রতি দিন সকালে, দুপুরে ও সন্ধ্যায় হবে পুজো। প্রতি দিন হবে আরতি। কামাখ্যার পুজোয় কোনও মূর্তি নেই। কামাখ্যায় সতীর যোনি পড়েছিল। গর্ভগৃহের যোনি আকৃতির পাথরই এখানে পূজিত। তাই নীলাচল পাহাড়ের কোথাও মাটির মূর্তি গড়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে পুজো হয় না।
পুজোয় মন্দির খোলার সময়েও খানিক অদল-বদল করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর, মহালয়া পর্যন্ত সকাল ৯টায় মন্দির খুলবে। আর বন্ধ হবে সূর্যাস্তে। আবার অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। সপ্তমীতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে, অষ্টমীতে সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টো, নবমীতে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে ও দশমীতে ফের সকাল ৯টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকবে। অক্টোবরের ১ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর জন্য দেওয়া বিশেষ পাস বন্ধ থাকবে। অন্য সব ধরণের বিশেষ পাস ওই সময় নিয়ন্ত্রিত করা হবে। সব ধরণের বিশেষ পাস বন্ধ থাকবে ৯ অক্টোবর। প্রশাসন জানিয়েছে, পুজোর সময় কামাখ্যায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হবে। থাকবে পুলিশ ও আধা সেনা। গুয়াহাটির বিষ্ণুপুর বিমলানগরের সর্বজনীন পুজোয় সেজে উঠছেন ভৈরবী মা। সেটাই এ বার বিমলানগর সর্বজনীনের সূবর্ণজয়ন্তী থিম। অবশ্য কয়েক মাস আগে পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও রাজ্য জুড়ে বন্যার জেরে কর্তৃপক্ষ থিম রাখলেও জাঁকজমক বাদ দিয়েছেন। একটি গাছকে কেন্দ্র করে মন্দির। গাছের আকারেই থাকবে মায়ের আদল।