Look Out Circular Against Anil Ambani

দেশ ছাড়তে পারেন অনিল! ৩ হাজার কোটি টাকা দেনা মামলায় রিলায়্যান্স গ্রুপের চেয়ারম্যানের নামে লুক-আউট সার্কুলার জারি ইডির

২০০৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনিলের সংস্থা রিলায়্যান্স গ্রুপ ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়ার সময় নিয়ম মানেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত করতে গিয়ে ইডি দেখছে, ঋণ মঞ্জুর হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কয়েক জন বড় অঙ্কের টাকা পেয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৫ ১৯:৫৭
Share:

অনিল অম্বানী। —ফাইল চিত্র।

৩০০০ কোটি টাকা দেনার মামলায় আরও বিপাকে রিলায়্যান্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানী। শুক্রবার ইডি সূত্র উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, তাঁর বিরুদ্ধে লুক-আউট সার্কুলার জারি হয়েছে।

Advertisement

গত মঙ্গলবার ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনিলের। তার পরেই এই পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, মামলা এড়াতে যাতে কেউ দেশত্যাগ না করেন, সে জন্য লুক-আউট সার্কুলার জারি হয়। দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নৌবন্দরের প্রবেশ এবং প্রস্থানপথের জন্য ওই সার্কুলার দেওয়া থাকে সেখানকার আধিকারিক এবং কর্মীদের সাবধান করে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি সেখানে যান, তাঁকে আটক করতে হয়।

২০০৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনিলের সংস্থা রিলায়্যান্স গ্রুপ ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়ার সময় নিয়ম মানেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ইডি দেখছে, ঋণ মঞ্জুর হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কয়েক জন বড় অঙ্কের টাকা পেয়েছিলেন। এই নিয়ম বহির্ভূত ‘বিনিময় ব্যবস্থা’ সম্পর্কে অনিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।

Advertisement

অন্য দিকে, দেনাগ্রস্ত রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্সের (আরকম) ঋণ অ্যাকাউন্টকে স্টেট ব্যাঙ্ক ‘প্রতারক’ হিসেবে চিহ্নিত করতে চলেছে বলে খবর। সংস্থার প্রাক্তন ডিরেক্টর অনিলের নাম এই সংক্রান্ত রিপোর্টে যুক্ত করতে চলেছে তারা। যা জমা পড়বে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে। গত ২৩ জুন আরকম-কে এ ব্যাপারে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক। আরকম সেই চিঠির কথা শেয়ার বাজারকে জানানোর পরে আজ তা প্রকাশ্যে এসেছে। স্টেট ব্যাঙ্কের পরে আরকম-এর অন্যান্য ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলিও একই পদক্ষেপ করতে পারে। অনিলের আইনজীবীর দাবি, আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করে ব্যাঙ্ক এই চিঠি পাঠিয়েছে। শিল্পপতি আইনি রাস্তা খতিয়ে দেখছেন।

এর আগে রিলায়্যান্স হোম ফিনান্সের ঋণের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল অনিলের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে এরিকসন মামলায় ৪৫৮.৭৭ কোটি টাকা জরিমানা দিতে ব্যর্থ হয়ে কারাদণ্ডের মুখে পড়েছিলেন তিনি। সাহায্যে এগিয়ে আসেন দাদা মুকেশ।

স্টেট ব্যাঙ্কের চিঠি অনুযায়ী, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ৩১,৫৮০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল আরকম এবং তার শাখা সংস্থাগুলি। এই অর্থ ‘জটিল’ পথে ঋণের শর্ত ভেঙে গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাঠানো হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement