পিনারাই বিজয়ন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করে ‘মশলা বন্ড’ ছেড়ে ২০০০ কোটি টাকা সংগ্রহের অভিযোগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের জবাবদিহি চেয়ে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ‘মশলা বন্ডে’র মাধ্যমে ৪৬৬ কোটি টাকা লেনদেনের ঘটনায় শোকজ় নোটিস পাঠানো হয়েছে সে রাজ্যের আর এক সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী টমাস আইজ্যাককেও।
২০১৯ সালে ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে কেরল পরিকাঠামো বিনিয়োগ তহবিল বোর্ড (‘কেরল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বোর্ড’ বা কেআইআইএফবি)-এর মাধ্যমে এই বন্ড চালু করেছিল। মশলা বন্ড হল স্থানীয় মুদ্রা বা মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় সংস্থাগুলি দ্বারা বিদেশের বাজারে ছাড়া টাকার বন্ড। যা বিদেশের বাজারে বিক্রি হওয়া ‘রুপি বন্ড’ হিসেবেও পরিচিত। কেরল সরকারের দাবি ছিল, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগে গতি আনতেই এই পদক্ষেপ। কিন্তু মূলধন সংগ্রহ করার এই পদ্ধতি নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলেছে ইডি।
বিজয়ন সরকার ২০১৯ সালে ৫০ হাজার কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের লক্ষ্যে লন্ডনের বাজারে ‘মশলা বন্ড’ ছেড়েছিল। প্রাথমিক ভাবে সংগৃহীত হয়েছিল ২০০০ কোটি টাকা। ইডির অভিযোগ, বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে তহবিল স্থানান্তর এবং ‘ফেমা’ লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী টমাসকে এই মামলায় ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসবাদও করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মশলা বন্ডের (যা বিদেশে বিক্রি হওয়া ‘রুপি বন্ড’ নামেও পরিচিত) বিশেষত্ব, বিদেশের শেয়ার বাজারেও তা টাকায় কেনা-বেচা করার সুবিধা। কারণ, তাতে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হার ওঠা-নামা করার যে ঝুঁকি, তা কার্যত ঝেড়ে ফেলা যায়। ২০১৫ সাল থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সংস্থাও ‘মশলা বন্ড’-এর সাহায্যে মূলধন সংগ্রহ করেছে। টমাস সোমবার জানিয়েছেন, কয়েক দিন আগে নোটিস পেয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ইডির পদক্ষেপ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।