কমিশনের চিঠিতে বদলাবে সরকারের সিদ্ধান্ত? ছবি: পিটিআই।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে বাজেট পেশ করা নিয়ে বিরোধী দলগুলির, এমনকী সঙ্গে এক শরিক দলেরও সমবেত চাপ তো ছিলই। মোদী সরকারের উপর সেই চাপ এ বার আরও কিছুটা বাড়াল নির্বাচন কমিশন। বাজেট পিছিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত বিরোধীদের দাবি নিয়ে সরকার কী ভাবছে তা জানতে চেয়ে সরকারকে চিঠি দিল কমিশন। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবকে পাঠানো এই চিঠিতে আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে উত্তর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে পাঁচ রাজ্যে। কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের নির্ধারিত দিনের বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে প্রথম দিনের ভোট। বিরোধীদের যুক্তি, এর মধ্যে বাজেট পেশের অর্থ হল নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙা। তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট শেষ হওয়ার পরে, ৮ মার্চ বাজেট পেশ করার দাবি জানানো হয়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল, সপা, বসপা, জেডিইউ এবং আরজেডি নেতারা এই দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করার পর বাজেট পিছনোর দাবিতে সওয়াল করে সরকারের শরিক শিবসেনাও। উদ্ধব ঠাকরে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভোটের আগে বাজেট পেশ একাধিক প্রশ্নের জন্ম দেবে। ভোটারদের প্রভাবিত করারও অভিযোগ উঠবে। এবং কিছু ক্ষেত্রে তা হয়ত সত্যিও হবে। সরকারের অবশ্যই উচিত বাজেট পিছিয়ে দেওয়া।”
কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের নেতৃত্বে বিরোধীদের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার নসীম জৈদি-সহ তিন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে। বাজেট পিছনোর দাবিতে সরব আজাদ বলেন, “ইউপিএ আমলে বিরোধীদের দাবি মেনে ১৬ মার্চ বাজেট পেশ করা হয়েছিল। তা হলে এ বারে তা মানা হবে না কেন?”
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাজেট পিছনোর দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে বিরোধীরা
নরেন্দ্র মোদী সরকার অবশ্য পুরনো অবস্থানে অনড়। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, সরকারি প্রকল্পের কাজ যাতে এপ্রিল থেকেই শুরু করা যায়, সে জন্যই বাজেট এগিয়ে আনা হয়েছে। জেটলির সুরেই বাজেট পিছিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে কেন্দ্রীয় সংসদীয় প্রতিমন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নকভি বলেন, “বিরোধীরা রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া। তাই কিছু না পেয়ে বাজেট নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।”
কমিশন সূত্রে অবশ্য আগেই বলা হয়েছে, বাজেট পিছিয়ে নেওয়ার নজির রয়েছে। কমিশনের এ দিনের চিঠির পর সরকারের অনড় অবস্থানে বদল আসে কি না সেটা দেখার। বা সরকার নিজের অবস্থানে অনড় থাকলে কমিশন শেষ পর্যন্ত কী করে, দেখার সেটাও।