উত্তর প্রদেশে বাড়ল এসআইআরের সময়সীমা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
নির্বাচন কমিশন এ বার উত্তরপ্রদেশে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়়ানোর কথা ঘোষণা করল। মঙ্গলবার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নির্ভুল ও ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এর আগে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশে এসআইআর পর্বের জন্য বাড়তি এক সপ্তাহ সময়সীমা মঞ্জুর করেছিল কমিশন। সেই সঙ্গে বর্ধিত সময়সীমার আওতায় এসেছিল তামিলনাড়ু, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।
বিহারের পরে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চলছে ভোটার তালিকার এসআইআর। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিশন প্রথমে জানিয়েছিল, ৪ ডিসেম্বর এনুমারেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। তার পরে সেই সময়সীমা সাত দিন বৃদ্ধি করেছিল কমিশন। সেই সময়সীমা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর শেষ হয়। কিন্তু তার আগেই উত্তরপ্রদেশ-সহ সাত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এক সপ্তাহ বাড়তি সময় পায়।
এর পরে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যতে আরও বাড়তি সময় দিয়ে এনুমারেশন প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বরাদ্দ করা হয়। সে সময় কমিশনের তরফে পরিমার্জিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, উত্তরপ্রদেশকে খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে হবে ৩১ ডিসেম্বর এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু তার আগেই আবার বাড়তি সময় দেওয়া হল বিজেপি শাসিত ওই রাজ্যকে। মঙ্গলবার কমিশনের দেওয়া সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী, ৬ জানুয়ারির মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে উত্তরপ্রদেশকে। ৬ মার্চের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর দুই নির্বাচন কমিশনার, এসএস সান্ধু ও বিবেক যোশীকে পাশে বসিয়ে দেশের ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর শুরুর ঘোষণা করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার জানিয়েছিলেন, ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়া হবে। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। এই তালিকা নিয়ে অভিযোগ থাকলে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে। পরবর্তী পর্যায়ে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে অভিযোগের শুনানি এবং খতিয়ে দেখার কাজ। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গকে কোনও বাড়তি সময়সীমা দেয়নি কমিশন।