যাচাইয়ে ভোটারই ভরসা কমিশনের

‘ইলেকটরস ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম’ বা ইভিপি ১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার কথা। কমিশনের ভোটার তালিকা-কেন্দ্রিক এই পরিকল্পনার অন্যতম কাজ হল অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার তালিকায় থাকা নামের ঠিক-ভুল দেখে নেওয়া।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫০
Share:

ফাইল চিত্র।

গণতন্ত্রের মূল চরিত্র ভোটদাতারাই। সেই ভোটারেই ভরসা রেখে যাবতীয় পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। তাদের বুথের পরিকাঠামো নির্মাণ কিংবা বুথের স্থান বদল অথবা ভোটার তালিকার স্বাস্থ্যের উন্নতি— সব কিছুরই কেন্দ্রে থাকছেন ভোটারেরা।

Advertisement

‘ইলেকটরস ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম’ বা ইভিপি ১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার কথা। কমিশনের ভোটার তালিকা-কেন্দ্রিক এই পরিকল্পনার অন্যতম কাজ হল অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার তালিকায় থাকা নামের ঠিক-ভুল দেখে নেওয়া। সে-ক্ষেত্রে নাম, জন্ম-তারিখ, রিলেশনশিপ বা সম্পর্ক, ছবি খারাপ, লিঙ্গ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা থাকলে অনলাইনের মাধ্যমে ঠিক করতে পারবেন স্বয়ং ভোটারই। নিজের তো বটেই, পরিবারের অন্যদের বিষয়টিও ঠিকঠাক করে নিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ভোটার। তবে এই যাচাই কর্মসূচিতে প্রমাণস্বরূপ একটি পরিচয়পত্র দেখাতে হবে তাঁকে। কোথাও কোনও সংশোধনের প্রয়োজন হলে ভোটার অনলাইনে নির্দিষ্ট ফর্ম পেয়ে যাবেন।

ভোটার তালিকার পাশাপাশি বুথের পরিকাঠামো নিয়ে অনেক অভিযোগ ওঠে। সেই সব অভিযোগ থেকে মুক্তির পথ খুঁজতেও ভোটারের উপরেই ভরসা করছে কমিশন। বিষয়টি নিয়ে ভোটারের মতামত দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কোথাও বুথ স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে ভোটারেরা সেই বিষয়েও মতামত দিতে পারবেন। এবং অনলাইনেই সেই সুযোগ পাবেন তাঁরা। প্রয়োজনে সেই মতামতের ভিত্তিতে বুথের স্থান বা পরিকাঠামো বদল করতে পারে কমিশন।

Advertisement

তবে অনলাইনে কোনও অসুবিধা হলে কেউ যাতে ভোটার তালিকা যাচাইয়ে বাদ না-পড়েন, সেই জন্য ব্লক স্তরে ‘ফেলিসিটেশন সেন্টার’ খোলা হবে। যদি কেউ সেখানে যেতে না-পারেন, তা হলে বাড়িতে গিয়ে এই যাচাই পর্বের সেরে নেবেন বুথ লেভেল অফিসারেরা (বিএলও)। ভোটারেরা অনলাইনের যাচাই পর্বে দেওয়া সব তথ্য ঠিকঠাক দিয়েছিলেন কি না, বিএলও অফিসারেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা-ও পরীক্ষা করবেন।

ইভিপি-র বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যের সিইও দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের হাতে-কলমে বোঝাতে চায় কমিশন। আজ, সোমবার সেই প্রশিক্ষণে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার কথা সব রাজ্যের সিইও দফতরের আধিকারিকের। এই ধরনের কর্মসূচি কেন? কমিশনের কর্তাদের মতে, ‘‘কারও নাম, বয়স বা ভোটার তালিকার অন্য কোনও বিষয় অন্যদের চেয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারই সব থেকে ভাল জানেন। ফলে তিনি নিজেই ঠিক করলে তালিকার স্বাস্থ্যোন্নতি ঘটবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন