Elon Musk Donald Trump

ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের উপদেষ্টাকে কড়া জবাব দিল মাস্কের এক্স! কী ভাবে রাশিয়ার সঙ্গে চলে মার্কিন বাণিজ্য? ফাঁস

ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ পিটার নাভারো যে পোস্ট করেছেন, তার নীচে কড়া জবাব দিয়েছে এক্স। মাস্ক সরাসরি কিছু বলেননি। তবে এক্সের জবাবকে মাস্কের বক্তব্য বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। পিটারও এতে ক্ষুব্ধ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৬
Share:

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

ভারতের পাশে দাঁড়াল ইলন মাস্কের সংস্থা এক্স। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা পিটার নাভারোকে কড়া জবাব দেওয়া হল ওই প্ল্যাটফর্মেই। মাস্ক সরাসরি কিছু বলেননি। তবে পিটারের পোস্টের নীচে যে জবাব এক্স দিয়েছে, তা মাস্কের বক্তব্য বলেই মনে করা হচ্ছে। পিটারও এতে ক্ষুব্ধ। তিনি সরাসরি মাস্ককে ভর্ৎসনা করেছেন। এক্স হ্যান্ডলে শুরু হয়েছে বাকবিতণ্ডা।

Advertisement

রাশিয়ার কাছ থেকে খনিজ তেল কেনার কারণে ভারতের উপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। ভারতের পণ্য থেকে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আদায় করা হচ্ছে। ফলে দুই দেশের বাণিজ্য ধাক্কা খেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ পিটার এক্সের একাধিক পোস্টে ভারতের বিরুদ্ধাচারণ করেছেন। দাবি, ভারত শুধুমাত্র নিজের লাভের কথা ভেবে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে, যুদ্ধে অর্থসাহায্য করছে। এমনকি, ভারতের চড়া শুল্কের কারণে আমেরিকার নাগরিকেরা চাকরি হারাচ্ছেন বলেও তিনি দাবি করেন। পিটারের এই পোস্টটির নীচেই এক্স-এর তরফে একটি মন্তব্য করা হয়েছে, যার শিরোনামে রয়েছে— ‘‘পাঠকদের যোগ করা কিছু প্রসঙ্গ, যা মানুষের জানা দরকার’’। এই শিরোনামের নীচে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত জ্বালানি নিরাপত্তার কারণে, শুধু লাভের জন্য নয়। এই সিদ্ধান্ত কোনও বিধিনিষেধ লঙ্ঘনও করে না। ভারত শুল্ক নেয় ঠিকই, তবে পরিষেবার ক্ষেত্রে আমেরিকারও বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। তা ছাড়া, আমেরিকা তো রাশিয়ার কাছ থেকে কিছু কিছু জিনিস কিনে থাকে, এটা ভণ্ডামি।’’

নিজের পোস্টের নীচে এক্স-এর এই মন্তব্য দেখে ক্ষুব্ধ পিটার। তিনি পাল্টা লিখেছেন, ‘‘বাহ্‌! মাস্ক আজকাল নিজের বক্তব্য মানুষের পোস্টে ঢুকে প্রচার করছেন! আমার পোস্টের নীচের ওই মন্তব্য জঘন্য। ভারত শুধুমাত্র লাভের জন্যই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার আগে তো ওরা তেল কিনত না। ভারত সরকারের মেরুদণ্ড বেঁকে যাচ্ছে। ইউক্রেনীয়দের নিধন বন্ধ করুন। আমেরিকানদের চাকরি খাওয়া বন্ধ করুন।’’

Advertisement

পিটারের এই পোস্টের নীচেও এক্স-এর বক্তব্য এসেছে। তাতে আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্কে আরও বিশদে বলা হয়েছে। পিটারকে ‘ভণ্ড’ বলে উল্লেখ করে এক্স লিখেছে, ‘‘পিটারের দাবি ভণ্ড। ভারতের রুশ তেল কেনার সিদ্ধান্ত আইনসম্মত, সার্বভৌম এবং জ্বালানি নিরাপত্তার কারণেই এই তেল কেনা হয়। আন্তর্জাতিক আইন এতে লঙ্ঘিত হয় না। ভারতকে চাপ দিচ্ছে আমেরিকা, আবার তারাই কোটি কোটি টাকা দিয়ে রাশিয়ার ইউরেনিয়াম এবং অন্যান্য জিনিস কিনছে। আমেরিকার দ্বিচারিতা এ ভাবে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।’’

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের সঙ্গে আমেরিকার ধনকুবের মাস্কের বিরোধ কারও অজানা নয়। কয়েক মাস আগেই প্রকাশ্যে তাঁরা বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। ট্রাম্পের নীতির বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন মাস্ক। ব্যক্তিগত কাদা ছোড়াছুড়িও বাদ যায়নি। এমনকি, ট্রাম্পের বিপরীতে মাস্ক নতুন একটি দলও গঠন করে ফেলেছেন। ৫০ শতাংশ শুল্কের কারণে ভারতের সঙ্গে যখন মার্কিন বাণিজ্য ধাক্কা খাচ্ছে, তখন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠকে কড়া জবাব দিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়াল মাস্কের সংস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement