রাঠীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেও খুলল ফেসবুক

ওই ঘটনার জন্য শেষ পর্যন্ত দুঃখপ্রকাশও করতে হয়েছে সংস্থাটিকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯ ০৫:০৫
Share:

ধ্রুব রাঠী। —নিজস্ব চিত্র।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের কট্টর সমালোচক ধ্রুব রাঠীর অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেও তা ফের খুলে দিল ফেসবুক। ওই ঘটনার জন্য শেষ পর্যন্ত দুঃখপ্রকাশও করতে হয়েছে সংস্থাটিকে।

Advertisement

নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত হোক কিংবা রাফাল চুক্তি— মোদী সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও দাবি সম্পর্কে পাল্টা তথ্য হাজির করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ জনপ্রিয় রাঠী। সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও খবর আদৌ সত্যি কি না, নিজের অ্যাকাউন্টে তা তুলে ধরাই বিশেষত্ব রাঠীর। তাই তিনি জনপ্রিয় আবার বিতর্কিতও বটে।

অতীতে বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছেন রাঠী। তবে এ সব তাঁকে বিখ্যাতও করেছে। ফেসবুকে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ৫০৪,০০০, ইউটিউবে ১৭ লক্ষ, টুইটারে ২২০,০০০ জন! রাঠীর দাবি, মোদীর সরকারি পেজ কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির প্রচারের যে সব পেজ, তার সঙ্গে তুলনা করা যায় তাঁর জনপ্রিয়তাকে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সেই রাঠীর ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছিল হিটলার সম্পর্কে তাঁর পোস্টকে ঘিরে। ফেসবুকের দাবি ছিল, ওই বক্তব্য ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’-এর বিরুদ্ধে। সমাজকে আঘাত করতে পারে। রাঠীর পাল্টা যুক্তি, তিনি কাউকে গালমন্দ করেননি, কারও বিরুদ্ধে অসম্মানজনক শব্দ প্রয়োগ করেননি। টুইটারে তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, ব্রিটানিকা এনসাইক্লোপিডিয়া থেকে হিটলার সম্পর্কে মানুষের সামনে তথ্য তুলে ধরলে তা ফেসবুকের মানকে কী ভাবে আঘাত করছে?

এর পরেই সিদ্ধান্ত বদল। সোমবার রাঠী জানিয়েছেন, ফেসবুক তাঁকে ‘ব্লক’ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। তবে তাঁর কটাক্ষ, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির প্রচারের যে সব পেজ, তার থেকে ফলোয়ারের সংখ্যায় কোনও অংশে পিছিয়ে নন তিনি। অথচ লোকসভা ভোটের ঠিক এক মাস আগে তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন