জুয়ার নেশায় ধারদেনা করতে শুরু করেছিলেন আত্মঘাতী কৃষক। প্রতীকী ছবি।
চাষবাস করেই রোজগার। কিন্তু জুয়ার নেশায় ধারদেনা করতে শুরু করেছিলেন। তা নিয়ে সংসারে টানাটানিও শুরু হয়েছিল। দেনার ভারে জর্জরিত হয়েই শেষমেশ স্ত্রী-সহ দু্ই মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন অন্ধ্রপ্রদেশের এক কৃষক।
পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার সকালে স্ত্রী সুলোচনা (৪৫), প্রত্যুষা (২০) ও প্রতিভাকে (১৮) খুনের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন অনন্তপুর জেলার তাড়িপত্রী শহরের বাসিন্দা রামসুব্বা রেড্ডি। ফলে প্রথমেই তাঁর প্রতি সন্দেহ হয় পুলিশের। এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। গত কাল শহরের টিটিডি কল্যাণ মণ্ডপমের কাছে অচৈতন্য অবস্থায় রামসুব্বাকে উদ্ধার করা হয়। এর পর তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রামসুব্বাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন রামসুব্বা।
আরও পড়ুন
হিন্দু-মুসলিম হওয়ায় দম্পতিকে ঘর দিল না বেঙ্গালুরুর হোটেল!
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় রামসুব্বার বড় মেয়ে প্রসন্না তিরুপতিতে ছিলেন। সেখানেই একটি কলেজে স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রী ছিলেন তিনি। প্রত্যুষা ও প্রতিভা তিরুপতিতে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করতেন। তবে তাঁদের কলেজ ছুটি থাকায় ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন তাঁরা। গতকাল ধারদেনা নিয়েই স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল রামসুব্বার। পুলিশের অনুমান, রাগের বশেই স্ত্রী ও মেয়েদের খুন করেন তিনি।