লক্ষ্য, সংসদ ভবন। দিল্লির রাজপথে কৃষকদের মিছিল। শুক্রবার। ছবি- রয়টার্স।
কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল রাজধানী দিল্লি। ঋণ মকুব ও ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে সংসদ ভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই দিল্লির রাজপথ হয়ে ওঠে কৃষকদের জনপথ! যানজটে স্তব্ধ হয়ে যায় জওহরলাল নেহরু মার্গ-সহ দিল্লির প্রধান রাস্তাগুলি। কৃষকদের মুখে স্লোগান ছিল, ‘অযোধ্যা চাই না, চাই, আমাদের ঋণ মকুব করা হোক’ (অযোধ্যা নাহি, কর্জি মাফ চাহিয়ে)।
মূলত বামপন্থী দলগুলির ডাকে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার কৃষক গতকালই পৌঁছেছিলেন রামলীলা ময়দানে। রামলীলা ময়দান কাল থেকেই ভরে যায় লাল পতাকায়। সেখান থেকেই এ দিন সকালে শুরু হয় কৃষকদের সংসদ অভিযান। ট্রেনে ও ট্রাকে চেপে অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষকরা দলে দলে গতকালই এসে পৌঁছন দিল্লিতে। পরে এ দিন দিল্লির যন্তরমন্তরে কৃষকদের সমাবেশে ভাষণ দেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তার আগে বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে আসেন শরদ পওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরি, ফারুক আবদুল্লা ও শরদ যাদবের মতো রাজনৈতিক নেতারা।
ঋণের বোঝায় নুইয়ে পড়ে যে দুই কৃষক আত্মঘাতী হয়েছিলেন তামিলনাড়ুতে, তাঁদের ছবি নিয়ে তামিলনাড়ু থেকে প্রায় হাজার দেড়েক কৃষক গতকাল এসে পৌঁছন দিল্লিতে। এ দিন তাঁদের সংসদ ভবনে ঢুকতে না দেওয়া হলে তাঁরা উলঙ্গ হয়ে মিছিলে হাঁটার হুমকি দিয়েছেন।
কৃষক বিক্ষোভ দিল্লিতে। শুক্রবার।
গত অক্টোবরে দিল্লিতে কৃষকদের বিক্ষোভের মোকাবিলা করতে ব্যারিকেড গড়ে তোলার পাশাপাশি পথে জলকামান নামিয়েছিল পুলিশ। ছুড়েছিল কাঁদানে গ্যাসও। এ বার দিল্লির গুরুদ্বারগুলি বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা কৃষকদের রাতে থাকার ব্যবস্থা করেছে। আম আদমি পার্টি (আপ)-এর তরফে বিলি করা হয়েছে খাবার প্যাকেটও।
আরও পড়ুন- মিছিলেই মৃত্যু বাবার, ফের লং মার্চে দিল্লিতে ছেলে
আরও পড়ুন- হাতে খাবার, জলের প্যাকেট, মুম্বইয়ে বিপুল অভ্যর্থনা কৃষকদের