Meerut

Murder: ‘ঠিক পথে আনার চেষ্টা করেছিলাম, আফসোস নেই!’ মেয়ের মাথা কেটে ফেলার পর বললেন বাবা

মেরঠের পুলিশ সুপার বিনীত ভটনগর বলেন, “রাতভর তল্লাশি চালিয়ে তরুণীর কাটামাথা ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়। ওড়নায় জড়ানো ছিল সেই মাথা।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মেরঠ শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২২ ১৬:২৫
Share:

মেয়েকে খুনে অভিযুক্ত শাহিদ কুরেশি।

মেয়ের মাথা কেটে নেওয়ার করেও অনুতাপের লেশমাত্র ছিল না বছর পঞ্চাশের শাহিদ কুরেশির মুখচোখে। উল্টে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমি অনুতপ্ত নই। ওকে ঠিক পথে আনার চেষ্টা করেছিলাম। শোনেনি।”

Advertisement

তিনি আরও বলেন, “ওর মাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যেত। আমার হাতে আর কোনও রাস্তা ছিল না। আমাদের মানসম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। তাই ওকে খতম করে দিয়েছি।”

পরিবারের অমতে এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন বছর পঁচিশের শাহিনা। গত ১২ অগস্ট প্যাকেটে মোড়ানো তাঁর মুণ্ডকাটা দেহ উদ্ধার হয় স্থানীয় একটি কবরস্থলের বাইরে। কিন্তু শাহিনার কাটামাথা কোথায়, তার জন্য তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার একটি ড্রেন থেকে শাহিনার কাটামাথা উদ্ধার করে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের মেরঠের ঘটনা।

Advertisement

মেরঠের পুলিশ সুপার বিনীত ভটনগর বলেন, “রাতভর তল্লাশি চালিয়ে তরুণীর কাটামাথা ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়। ওড়নায় জড়ানো ছিল মুণ্ড। যে অস্ত্র দিয়ে তরুণীকে খুন করা হয়েছে তা-ও উদ্ধার হয়েছে। শাহিদ এবং তাঁর স্ত্রী শেহনাজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ২০১ (প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা) এবং ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে শাহিদকে।”

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ওয়াসিম নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল শাহিনার। কিন্তু এতে তাঁর বাবা শাহিদের প্রবল আপত্তি ছিল। এক বছর ধরে এই সম্পর্ক গোপন ছিল। মাস ছয়েক আগে শাহিনার বাবা এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। তার পরই বাড়ি ভাড়া নিয়ে অন্যত্র চলে যান। কিন্তু তার পরেও শাহিনা যোগাযোগ রাখতেন ওয়াসিমের সঙ্গে। এক বার তাঁরা পালিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু দিন পরে ফিরে আসেন বাড়িতে। সার্কল অফিসার অরবিন্দ চৌরাসিয়া বলেন, “সেই সময় শাহিনার বাবা তাঁদের বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজিও হয়েছিলেন।” কিন্তু, তার পর তাঁর মত পরিবর্তন হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন