দ্রুত ‘বড়’ হয়ে উঠছেন তেজস্বী

বাবা-মায়ের ইচ্ছা থাকলেও সব সময় যে রাজনৈতিক নেতার পুত্ররা দাগ কাটতে পারেন এমন নয়। বিহারে এর সব থেকে বড় উদাহরণ রামবিলাস পাশোয়ানের ছেলে চিরাগ।

Advertisement

দিবাকর রায়

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ০৩:০৫
Share:

পিতার প্রত্যক্ষ প্রশ্রয়েই নিজের শক্তি বাড়িয়েছেন তিনি। পিতা জেলবন্দি। এই পরিস্থিতিই লালু-তনয় তেজস্বীকে দ্রুত নেতা হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। বিহারের অররিয়া লোকসভা এবং জহানাবাদ বিধানসভা উপনির্বাচনে দলের জয়ে তাঁরা কৃতিত্বের সিংহভাগই দিচ্ছেন লালুপ্রসাদের ছোট ছেলে তেজস্বী যাদবকে।

Advertisement

বাবা-মায়ের ইচ্ছা থাকলেও সব সময় যে রাজনৈতিক নেতার পুত্ররা দাগ কাটতে পারেন এমন নয়। বিহারে এর সব থেকে বড় উদাহরণ রামবিলাস পাশোয়ানের ছেলে চিরাগ। সে দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী। দল ক্ষমতায় এলে তিনিই যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, এখন আর তা নিয়ে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কোনও সন্দেহ নেই। লালুপ্রসাদ প্রথমে চাপিয়ে দিলেও তাঁরাই এখন তেজস্বীকে নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছেন।

তবুও ফোনে ‘বিনয়ী’ তেজস্বী। তাঁর কথায়, ‘‘লালুপ্রসাদ শুধুই নেতা নন। রাজ্যে সামাজিক আন্দোলনে তিনি আলাদা এক বিচারধারাও। আজকের জয় তাঁর জন্যই। আমি অনুগত সৈনিক হিসেবে নিজের কাজটুকু করেছি মাত্র।’’ ২৮ বছরের তেজস্বীর আরও একটা গুণ, তাঁর ‘মি়ডিয়া ম্যানেজমেন্ট’। ২৪ ঘন্টাই সাংবাদিকদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে নিজেকে রেখেছেন তেজস্বী। নিজের টুইট নিজেই করেন।

Advertisement

প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে প্রচারের পরিকল্পনা কী হবে, কোথায় কে সভা করবেন, কাকে কতখানি ব্যবহার করবেন—সবটাই নিজের হাতে করেছেন তেজস্বী। হিন্দি বলয়ে রেওয়াজ-রীতিই হল উত্তরাধিকার বর্তায় জ্যেষ্ঠ পুত্রের উপরে। প্রথম প্রথম দলের মধ্যেই লালুপ্রসাদের ‘পছন্দ’ নিয়ে প্রশ্ন উঠত। কিন্তু বাবার মদতে দলে তেজস্বীর ভূমিকা চার বছরের বড় দাদার থেকে রাজনীতিতে ক্রমশ তাঁকে এগিয়ে দেয়।

দলের প্রবীণ নেতা, রঘুবংশ প্রসাদ সিংহ তেজস্বীর পিতৃতুল্য। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি খুঁতখুঁতে। তিনিও বলছেন, ‘‘তেজস্বী নিজেকে প্রমাণ করেই নেতা হয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement