Pakistan

মহিলা সাংবাদিককে চোখ মেরে বিতর্কে পাক সেনাকর্তা! ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড়

মহিলা সাংবাদিককে চোখ মারার ওই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই সমাজমাধ্যমে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, আহমেদের আচরণ পেশাদার সেনাকর্তাসুলভ নয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৩৫
Share:

(বাঁ দিকে) পাক লেফ্‌টেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধরি। সাংবাদিক আবসা কোমল (ডান দিকে) ছবি: সংগৃহীত।

সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন মহিলা সাংবাদিককে চোখ মারলেন পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগের ডিজি তথা লেফ্‌টেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধরি! পাক সেনাকর্তার ওই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।

Advertisement

সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে সাংবাদিক আবসা কোমলকে লক্ষ্য করে চোখ মারেন আহমেদ। সে সময় কোমল পাকিস্তানের জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে লেফ্‌টেন্যান্ট জেনারেলের তোলা নানা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। উত্তরে সেনাকর্তা স্মিত হেসে তাঁর দিকে তাকিয়ে চোখ মারেন বলে অভিযোগ।

সেই মুহূর্তের কথোপকথনও প্রকাশ্যে এসেছে। কোমল প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘আপনার বলা তিনটি কথা যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ, এই যে ইমরানকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ’, ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ এবং ‘দিল্লির হাতের পুতুল’ বলা হচ্ছে, এটা কি অতীতের থেকে আলাদা, না কি ভবিষ্যতে অন্য কিছু আশা করা উচিত?’’ তাঁর কথা শেষ হতে না হতেই আহমেদ ব্যঙ্গ করে বলেন, “আর চতুর্থ পয়েন্টও যোগ করুন, উনি একজন ‘জেহনি মরিজ’ (মানসিক রোগী)।’’ এর পরেই স্মিত হেসে কোমলের দিকে তাকিয়ে চোখ মারেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে ৯ মে, ২০২৩-এ সেনাঘাঁটিগুলির উপর হামলার নেপথ্যে ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ বলেও দাবি করেছেন আহমেদ। যদিও অতীতে বার বারই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইমরান ও তাঁর দল।

Advertisement

তবে মহিলা সাংবাদিককে চোখ মারার ওই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই সমাজমাধ্যমে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, আহমেদের আচরণ পেশাদার সেনাকর্তাসুলভ নয়। আবার কারও কারও প্রশ্ন, উর্দি পরে কেউ কী ভাবে প্রকাশ্যে এমন আচরণ করতে পারেন?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement