বিয়ের মণ্ডপে শার্টে কিউআর কোড ঝুলিয়ে দাঁড়ালেন কনের বাড়ির লোক! ছবি: সংগৃহীত।
পরনে সাদা শার্ট আর সাদা ধুতি। চোখে চশমা। শার্টের পকেটে একটি কলম এবং একটি মোবাইল রাখা। ওই পকেটেই সাঁটিয়ে রাখা কিআর কোড। তিনি নাকি কনের বাবা। মেয়ের বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিদের কেউ যদি ডিজিটাল মাধ্যমে উপহার পাঠাতে চান, তাই এই ব্যবস্থা করেছেন। ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল ওই প্রৌঢ়। তাঁকে নিয়ে নেটাগরিকদের মধ্যে জোর চর্চা। কেউ বলছেন, ভাইরাল হতেই এই কাজ করেছেন। কারও মত, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা যেতে পারে এই প্রৌঢ়কে।
রঙিন সেলোফোনে মোড়া উপহারের বাক্স হাতে আজকাল খুব বেশি লোকজনকে অনুষ্ঠানবাড়িতে দেখা যায় না। বিয়েতে অনেকেই উপহার হিসাবে নগদ অর্থ দেন। হালে অনেকে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করেন। কিন্তু এখন নগদ টাকা নিয়ে খুব বেশি লোক যে বাড়ি থেকে বেরোন না, তা ভালই অনুধাবন করেছেন কেরলের প্রৌঢ়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত, কয়েক দিন আগে কেরলের ওই প্রৌঢ়ের মেয়ের বিয়ে ছিল। বড় করে বিয়ের আয়োজন করেছিলেন তিনি। নিমন্ত্রিতের সংখ্যাও প্রচুর। অতিথিদের আমন্ত্রণ জানাতে প্যান্ডেলের গেটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। দু’হাত জড়ো করে অভ্যাগতদের নমস্কার করে স্বাগত জানান কনের অভিভাবক। অতিথিদের অনেককে দেখা যায় তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইল তাক করছেন। ব্যাপারটা কী?
আসলে কনের ছবি তোলার আগে বাবার শার্টের পকেটে সাঁটানো কিউআর কোড স্ক্যান করছিলেন নিমন্ত্রিতেরা। উপহার হিসাবে যে যার মতো করে টাকা পাঠিয়ে দেন তাতে। ওই ভিডিয়োই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
সমাজমাধ্যমে কোনও ভিডিয়ো পোস্ট করা মানেই তাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকে। এই ভিডিয়ো নিয়েও আড়াআড়ি ভাগ নেটাগরিকেরা। কনের অভিভাবক আমন্ত্রিতদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া নেওয়ার জন্য কিআর কোড সাঁটিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, এটা অসম্মানজনক বলে মনে করছেন অনেকে। বাকিদের দাবি, এটাই তো সময়ের দাবি। ঠিকই করেছেন কনের বাড়ির লোকজন। এটাই ‘ট্রেন্ড’ হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।