(বাঁ দিকে উপর-নীচে) অভিযুক্ত দম্পতি। গাড়ির ধাক্কায় মৃত বাইকচালক (ডান দিকে) । ছবি: সংগৃহীত।
বেঙ্গালুরু গাড়িচাপা কাণ্ডে নয়া তথ্য উঠে এল। মৃত যুবকের পরিবারের দাবি, দুর্ঘটনার পর রাস্তায় তিন ঘণ্টা ধরে পড়ে ছিলেন। সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি। পরে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিশের কাছে কেউ এক জন ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানান। তার কিছু পরে পুলিশ আসে। ওই যুবক এবং তাঁর বন্ধুকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তত ক্ষণে যুবকের মৃত্যু হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে দর্শন নামে এক যুবক এবং তাঁর বন্ধু বরুণ বাইকে করে যাচ্ছিলেন। পথে একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে সেটির সঙ্গে বাইকের ঘষা লাগে। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাড়িচালকের সঙ্গে অল্পবিস্তর কথা কাটাকাটিও হয়। বিষয়টি সেখানে মিটে গেলেও, গাড়িচালক দর্শনদের পিছু নেন। দু’কিলোমিটার পিছু নিয়ে তাঁদের ধাক্কা মেরে পালান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দর্শনের। গুরুতর জখম হন তাঁর বন্ধু।
দর্শনের জামাইবাবু মহেশ জানিয়েছেন, রাত ১১টা বেজে গেলেও দর্শন না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। ভেবেছিলেন, দর্শন হয়তো বন্ধুর বাড়িতেই রাত কাটাচ্ছেন। কিন্তু রাত ১২টা নাগাদ বরুণ ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানান। সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছোন দর্শনের জামাইবাবু। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বরুণ রক্তাক্ত অবস্থায় বসে রয়েছে। কয়েক হাত দূরে রাস্তায় পড়ে রয়েছে দর্শন। কোনও জ্ঞান ছিল না ওর।’’ মহেশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, দু’জন আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছেন, এই পরিস্থিতি দেখেও কেউ এগিয়ে আসেননি। পথচারীরা পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। তিন ঘণ্টা পড়ে ছিলেন দর্শন। সময়মতো সাহায্য পেলে হয়তো তাঁকে বাঁচানো যেত বলেই জানিয়েছেন মহেশ।