IMD

বন্যার কবলে কেরল, তবু দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় খরার ভ্রূকুটি

মৌসুমি বায়ুর এই অনিশ্চিত গতিপ্রকৃতি এর আগে কখনও দেখা যায়নি বলেই জানাচ্ছেন মৌসম ভবনের বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৮ ১৩:০২
Share:

ছবি: সংগৃহীত

কেরলের বন্যার ধাক্কা এখনও পুরোপুরি বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা দিল খরার ভ্রূকুটি। মাত্রাতিরিক্ত কম বৃষ্টিপাতের কারণে তামিলনাড়ু, কর্নাটক, রায়লসীমা ও তেলঙ্গানার ৪৭ টি জেলায় খরার আশঙ্কা করছে নয়াদিল্লির মৌসম ভবন।

Advertisement

কেরলের মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে দক্ষিণ ভারতের গড় বৃষ্টি এই বছর স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। কিন্তু এই অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত সর্বত্র সমান ভাবে হয়নি। কোথাও মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, কোথাও বা মাত্রাতিরিক্ত কম বৃষ্টিপাত। বৃষ্টির এই অচেনা ব্যবহার চিন্তায় ফেলছে আবহবিদদের।

কেরল ও অন্ধ্র উপকূল বাদ দিলে দক্ষিণ ভারতের প্রায় অর্ধেক অঞ্চলেই খরার প্রকোপ দেখা দিতে পারে। তামিলনাড়ু, কর্নাটক, তেলঙ্গানা ও রায়লসীমার মোট ৯৫ টি জেলার ৪৭ টিতেই ২০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। পাঁচ জেলার অবস্থা সঙ্গীন। সেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।

Advertisement

সবথেকে খারাপ অবস্থা রায়লসীমা-র। খরা এখানে নিশ্চিত। দেশের মধ্যে সব থেকে কম বৃষ্টি হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের এই অঞ্চলে। বৃষ্টির ঘাটতি এখানে প্রায় ৪২ শতাংশ। সারা দেশেই এখন বর্ষা শেষের মুখে। তাই পরিস্থিতির বিরাট উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। মরু এলাকা পশ্চিম রাজস্থানের থেকেও কম বৃষ্টি হয়েছে রায়লসীমায়। উত্তর কর্নাটকের পরিস্থিতিও বেশ আশঙ্কাজনক। বৃষ্টির ঘাটতি এখানে প্রায় ২১ শতাংশ।

আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুরই দোষ, হলফনামায় পিনারাই

তামিলনাড়ুতেও ৩২ টির মধ্যে ১২ টি জেলায় কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। কর্নাটকেও বৃষ্টির গতিপ্রকৃতি ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে আবহবিদদের। পুরো জেলার হিসেব ধরলে এখানে সামগ্রিক ভাবে তিন শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোডাগু জেলা যখন জলের তলায়, ঠিক তখনই ৩০ টির মধ্যে ৫ জেলায় কম বৃষ্টিপাত ও খরার ভ্রূকুটি।

আরও পড়ুন: ভাসল ভিটের গ্রামও, তবু নীরব ‘ভূমিপুত্র’

মৌসুমি বায়ুর এই অনিশ্চিত গতিপ্রকৃতি এর আগে কখনও দেখা যায়নি বলেই জানাচ্ছেন মৌসম ভবনের বিশেষজ্ঞরা। পূর্ব ভারত থেকে আসা নিম্নচাপের কারণে মৌসুমি বায়ু মধ্যভারতে কার্যকর হলেও দক্ষিণ ভারতে সে ভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি। সেই কারণেই খরার আশঙ্কা বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন