অনিল অম্বানী। —ফাইল চিত্র।
তিন হাজার কোটি টাকার দেনা মামলায় অনিল অম্বানীর বিরুদ্ধে শুক্রবারই লুক-আউট নোটিস জারি করেছে ইডি। এ বার সেই মামলায় প্রথম গ্রেফতারও হলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।
ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ওড়িশার একটি সংস্থার কর্ণধার পার্থসারথি বিসওয়াল। তাঁকে শুক্রবারই আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধী আইনের ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনিলের একটি সংস্থার জন্য ৬৮.২ কোটি টাকার ভুয়ো গ্যারান্টি জমা দিয়েছিল তারা। এর জন্য ৫.৪ কোটি টাকাও তারা নিয়েছে। ২০১৯ সালে তৈরি হওয়া সংস্থাটির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল দিল্লি পুলিশ। পার্থসারথিকে বিশেষ ইডি আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক ধৃতকে বুধবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
অনিলের সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে মোট ১৭,০০০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে ৩০০০ কোটি টাকার ঋণ ইয়েস ব্যাঙ্কের। ইডি সূত্রের খবর, অনিলের একাধিক সংস্থার মধ্যে ওই ঋণ বণ্টন হয়েছিল। তার আগে ব্যাঙ্কটির প্রোমোটারদের নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন সংস্থার কাছে টাকা পৌঁছোয়। ঋণ মঞ্জুরের ক্ষেত্রে বহু নিয়ম লঙ্ঘনও করেছিল বেসরকারি ব্যাঙ্কটি। ফলে সেই ঋণের ক্ষেত্রে ঘুষ জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। তদন্তের আওতায় রয়েছে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সম্পত্তি। এই সব সংক্রান্ত বয়ান নথিবদ্ধ করার জন্য অনিলকেও তলব করা হয়েছে।