সকলকে চমকে দিয়ে ২০১১ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সভাপতি নির্বাচনে লড়েছিলেন আসমা জাভেদ। প্রথা ভেঙে এক জন মহিলা হয়ে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে ধর্নায় বসে রাতারাতি শিরোনামে চলে এসেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে আসমার দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। আলিগড়ের শামসাদ এলাকায় তাঁর প্রতিবেশীরা জানান, কিছু দিন ধরেই আসমার বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক অনুমান, চার পাঁচ দিন আগেই আসমার মৃত্যু হয়েছে। আসমার ভাই সলমন জানিয়েছেন, আসমার সঙ্গে ৯ মে-র পর আর কথা হয়নি তাঁর। মোবাইলও বন্ধ ছিল আসমার। পুলিশ সূত্রের খবর, আসমার ফ্ল্যাটের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। তাই পুলিশের সন্দেহ, আসমাকে খুন করা হতে পারে। যদিও তাঁকে খুনের কারণ নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে ফ্ল্যাট থেকে তাঁর কিছু টাকা এবং ট্যাবলেট উধাও বলে পুলিশ জানিয়েছে। আসমার পরিবার সূত্র খবর, তাঁর বৈবাহিক জীবন সুখের ছিল না। বিয়ের পরেই কিছু না বলে তাঁর স্বামী দক্ষিণ আমেরিকা পাড়ি দেন। অথচ বিবাহ বিচ্ছেদ তাঁর হয়নি। এই সব কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন আসমা। সলমন বলেছেন, এর জন্য লখনউয়ে চিকিৎসা চলছিল আসমার। পুলিশ আরও জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে এক ব্যবসায়ী তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন আসমা।