জয়রাম ঠাকুর। ছবি- সংগৃহীত।
হিমাচল প্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রাজ্যের ৫ বারের বিধায়ক জয়রাম ঠাকুর।
বিজেপি সদ্য নির্বাচিত বিধায়করা রবিবার এক বৈঠকে জয়রামকে তাঁদের দলনেতা হিসেবে বেছে নেন। দলের দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নির্মলা সীতারামন ও নরেন্দ্র সিংহ তোমরও ছিলেন ওই বৈঠকে।
জয়রাম হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ২৭ ডিসেম্বর, বুধবার।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ১০ দিন আগে যাঁকে বিজেপি-র তরফে ভাবী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল, সেই ৭৩ বছর বয়সী বিজেপি নেতা প্রেম কুমার ধুমল গতকাল দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোয় জয়রামের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথে সব বাধাই দূর হয়ে যায়। রবিবার তাই বিজেপি বিধায়কদের বৈঠকে সর্বসম্মতিতেই নির্বাচিত হন জয়রাম।
বিজেপি নেতা প্রেম কুমার ধুমল
৬৮ আসনের হিমাচল বিধানসভায় বিজেপি এ বার ৪৪টিতে জিতলেও ধুমল তাঁর কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হেরে যান। তার পরেও অবশ্য সদ্য নির্বাচিত বিজেপি বিধায়কদের কয়েক জন ধুমলকে সমর্থনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বিজেপি-র অন্যতম কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নরেন্দ্র সিংহ তোমর জানিয়েছেন, ধুমল নিজেই কাল দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান। এ দিন বিধানসভার নেতা হিসেবে জয়রামের নাম প্রস্তাব করেন ধুমলই। আর সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন শান্তা কুমার এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা।
আরও পড়ুন- জোর চমক জয়ার আসনে, বিপুল জয়ের পথে হিসেবে না থাকা দিনকরণ
আরও পড়ুন- পরের বার লক্ষ্য ১৩৫, রাহুল জমি চষছেন এখন থেকে
দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাড্ডাও মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার ছিলেন। ধুমলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার জন্যই তাঁকে রাজ্যের রাজনীতি ছেড়ে দিল্লি চলে যেতে হয়েছিল।
কে এই জয়রাম?
হিমাচলে দলের ‘ঠাকুর মুখ’ ৫২ বছর বয়সী নেতা জয়রাম মান্ডির কাছে সেরাজ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এই নিয়ে ৫ বার বিধায়ক হলেন জয়রাম। এক সময় হিমাচল বিজেপি-র প্রদেশ সভাপতি জয়রাম ছিলেন ধুমলের মন্ত্রিসভাতেও। এ বার গণনায় ধুমল পিছিয়ে পড়তেই হিমাচলের বিজেপি নেতাদের মধ্যে জয়রামই সবার আগে দিল্লির ফ্লাইটে উঠেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার লক্ষ্যে।