ডাল লেকে শিকারার ছাদে জমা বরফ সরাচ্ছেন মাঝি। ছবি: পিটিআই।
ভূস্বর্গে বিপর্যয়।
তিন দিন ধরে প্রবল বৃষ্টির পরে শ্রীনগর-সহ মধ্য ও দক্ষিণ কাশ্মীরকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বন্যা কবলিত বলে ঘোষণা করেছে মেহবুবা মুফতি সরকার। পাশাপাশি বেড়ে গিয়েছে ঝিলম এবং অন্যান্য নদীর জলস্তর। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ দফতরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ হানিফ লোন বলেন, ‘‘অনন্তনাগ, পুলওয়ামা এবং কুলগাম জেলা ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। রাজ্য জুড়ে গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে প্রশাসন।’’ তবে শুক্রবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি উদ্ধারকার্যে নেমেছে সেনা।
বৃষ্টিতে তুষারধস নেমে বাতালিক সেক্টরে সেনার একটি চেকপোস্ট চাপা পড়েছে। দুই জওয়ানকে উদ্ধার করা হলেও এখনও খোঁজ মেলেনি পাঁচ জনের।
অন্য এলাকা থেকে বড় দুর্ঘটনার খবর না এলেও প্রাণহানির কোনও খবর না এলেও গোটা কাশ্মীর জুড়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। শ্রীনগরের রাস্তা জলে ভেসে যাওয়ায় ব্যাহত হয়েছে যান চলাচল। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের কাছে দেখা দিয়েছে ধসের আশঙ্কাও। গত কাল থেকেই সেখানে যান চলাচল বন্ধ। আগামী তিন দিন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
পাঞ্জিপুরার পাররে মহল্লায় আটকে পড়েছিল ছাত্ররা। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি ব্যাটেলিয়ন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পাটানের কৃপালপুর পেন গ্রামের একটি নালা উপচে এলাকা ভেসে গিয়েছিল। ত্রাণের কাজে বেরিয়ে গ্রাম থেকে বিপদের খবর পান জানগাম এলাকার সেনা কম্যান্ডার। সঙ্গে সঙ্গে সেনার দল সেই গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্ধার করে।