পাশেই: তিনসুকিয়ার ত্রাণ শিবিরে বন্যা দুর্গতদের কথা শুনছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। শনিবার। ছবি: পীতাম্বর নেয়ার।
বৃষ্টি না থামায় অসমের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র, বুড়িডিহিং, সুবনসিড়ি, ধনসিরি, জিয়া ভরালি, পুথিমারি, বেকি, গুরুং, সঙ্কোশ নদী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ধুবুড়িতে গঙ্গাধর নদীতে ভেসে গিয়েছেন সালেহা বেওয়া নামে এক মহিলা। বঙাইগাঁওয়ের মানস নদীতে পড়ে মারা গিয়েছেন হানিফ আলি। কোকরাঝাড়ে বন্যায় ভেসে মারা গিয়েছেন সুরঞ্জন দত্ত। আজ ধেমাজি জেলার ডিখারি কছারি গ্রামে ব্রহ্মপুত্রের বন্যায় নৌকা উল্টে একটি পরিবারের ৫ জন ভেসে যায়। স্বামী সুনীল রাভা কোনও ক্রমে দুই সন্তানকে বাঁচাতে পারলেও স্ত্রী পদ্মা রাভা ও চার বছরের ছেলে বিশাল রাভা ডুবে মারা যায়। লখিমপুরে মাহঘুলিতে জলে ডুবে নূর আলম নামে ৬ বছরের এক শিশু মারা গিয়েছে। মরিগাঁওয়ে বন্যায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে এ বারের বন্যায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৩।
কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ফের জলের তলায়। ৬০টিরও বেশি বন শিবির জলমগ্ন। গুয়াহাটিতেও ব্রহ্মপুত্র বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।