মায়াবতীর সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের মেঘ এখনও ঘনিয়ে আছে। এরই মধ্যে মায়াবতীর এক সময়ের খাস নেতাকে নিজের দলে নিয়ে এলেন রাহুল গাঁধী। সঙ্গে এলেন উত্তরপ্রদেশের আরও শ’খানেক নেতা।
আজ ভিড়ে থিকথিক করছিল দিল্লির আকবর রোডে এআইসিসি দফতর। দলে দলে হাজির হয়েছিলেন নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকির অনুগামীরা। যিনি ছিলেন ‘বহেনজি’র খাস লোক, একদা তাঁর সংখ্যালঘু মুখ। মায়াবতী তাঁকে দল থেকে বের করে দেওয়ার পর নতুন দলও গড়েছিলেন। তবু আজও কংগ্রেসে যোগ দিয়ে মুখ ফস্কে বারবার ‘বসপা’র নামই বেরিয়ে পড়ল সিদ্দিকির মুখে। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসে এলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক ও সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত শ’খানেক নেতা। যাঁদের সিংহভাগই বসপা থেকে বিতাড়িত। তাঁদের দলে এনে উত্তরপ্রদেশে নিজেদের ভিত আরও শক্ত করতে চাইলেন রাহুল গাঁধী।
প্রশ্ন হল, পরের লোকসভায় মোদী-বিরোধী মহাজোটে যখন মায়াবতীকেও সঙ্গে পেতে চাইছে কংগ্রেস, তখন তাঁর খাস লোককে দলে এনে বহেনজিরই কি রোষ বাড়ালেন না রাহুল? কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গুলাম নবি আজাদ বললেন, ‘‘দুটি বিষয় একেবারেই আলাদা। এই নেতাদের প্রায় সকলকেই বসপা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এক সময় জোটে থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেসের বিধায়ককে কেড়ে নিয়েছিলেন মায়াবতী। কংগ্রেস তখন রেগে যায়নি, এখন মায়াবতী রাগ করবেন কেন? আর লোকসভায় যখন বিজেপির বিরুদ্ধে মহাজোট গঠনের প্রয়োজন হবে, তখন বড় প্রতিপক্ষের মোকাবিলার জন্য একসঙ্গে আসতেই হবে।’’ গোটা ঘটনায় চুপ মায়াবতী।
কংগ্রেসের নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বহেনজিও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে এখন কর্নাটকে দেবগৌড়ার সঙ্গে জোট গড়েছেন। তাতে বিজেপিরই ফায়দা হবে। লোকসভার আগে সব দলই চাইবে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে নিতে। যখন একজোট হতে হবে, তখন সকলেই এক ছাতার তলায় আসবে।