জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র।
রাজস্থান বিধানসভায় পেনশনের জন্য আবেদন করেছেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত অজমের জেলার কিষানগড় বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন ধনখড়। তাই রাজস্থানের প্রাক্তন বিধায়ক হিসাবে পেনশন চেয়ে আবেদন করেছেন ধনখড়। এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার বাসুদেব দেবনানি জানান, ধনখড়ের আবেদনপত্র তাঁরা পেয়েছেন। বিধানসভার সচিবালয় ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে প্রাক্তন বিধায়ক হিসাবে ধনখড় পেনশন পাবেন বলে জানিয়েছেন স্পিকার।
রাজস্থানের প্রাক্তন বিধায়কেরা ৩৫ হাজার টাকা পেনশন পেয়ে থাকেন। সত্তরোর্ধ্ব বয়স হলে পেনশনের পরিমাণ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ধনখড়ের বয়স এখন ৭৪। তাই ধনখড় পেনশন হিসাবে মাসে ৪২ হাজার টাকা পাবেন। আশির কোঠায় পৌঁছোলে ধনখড়ের পেনশন ৩০ শতাংশ বাড়বে। ধনখড় লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। তবে কেন তিনি রাজস্থান বিধানসভার কাছে পেনশন চেয়ে আবেদন করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই গত ২১ জুলাই রাতে আচমকা উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান জগদীপ ধনখড়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি। পর দিন সকালেই সেই ইস্তফা গৃহীত হয়। ধনখড় ইস্তফাপত্রে লিখেছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এই পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত। যদিও এই তত্ত্ব বিরোধী দলগুলি মানেনি। বেশ কিছু দিন ধরেই উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে ধনখড়কে সরাতে চেয়েছিলেন বিরোধীরা। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনা হয়েছিল। সেই আবহে হঠাৎ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোকে ‘অস্বাভাবিক’ বলেই মনে করেন বিরোধীরা। ইস্তফা দেওয়ার পর আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি ধনখড়কে।