বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে বিহারে। গঙ্গা-সহ সমস্ত নদীর জল কমতে শুরু করেছে। তবে বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনও জল জমে রয়েছে। আজ বিকেলে বখতিয়ারপুরে বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। যান ত্রাণ শিবিরেও। সেখানে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। বানভাসিদের সমস্যা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশ দেন।
গত কয়েকদিনের বন্যায় রাজ্যের ১২টি জেলা প্রভাবিত হয়েছে। সরকারি হিসেবে, কম করে তিরিশ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ২৮ জন মারা গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর মিলেছে ভোজপুর জেলা থেকে।
এদিকে, উজানে বৃষ্টির কারণে ভাগলপুরে গঙ্গা এখনও বিপদসীমার উপর দিয়েই বইছে। মুঙ্গেরেও বিপদসীমার উপরে রয়েছে জল। তবে জাতীয় জল কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ফরাক্কা বাঁধের সমস্ত গেট খুলে রাখা হয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যেই সমস্ত জল নেমে যাবে বলে কমিশন কর্তাদের আশা। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের বানসাগর বাঁধ এবং উত্তরপ্রদেশের রিহান্ড বাঁধ থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে আনা হয়েছে।
বিহারের মধ্যে থাকা ৮০ নম্বর জাতীয় সড়ক কার্যত বন্ধ রয়েছে। মুঙ্গেরের বাররিয়াপুরে এবং ভাগলপুরের কহলগাঁওয়ে রাস্তার উপর দিয়েই জল বয়ে যাচ্ছে। গাড়ির লম্বা লাইন রয়েছে। বন্যার জল নামতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে নানা রোগও ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন শিবিরে চিকিৎসকদের দল পাঠানো হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে পৌঁছে দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও ভাবেই যেন আশ্রয় শিবিরে থাকা মানুষদের সমস্যা না হয়।
তবে জল নামতে শুরু করায় অনেকেই আশ্রয় শিবির ছেড়ে বাড়ির পথে পা বাড়াতে শুরু করেছেন বলে সরকারি সূত্রের খবর। বক্সার ও ভোজপুর জেলায় বেশ কয়েকটি আশ্রয় শিবিরে খাবার দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সমস্তিপুর ও বেগুসরাইয়ের আশ্রয় শিবিরের অবস্থাও খারাপ বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।