Bizarre

চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণার ১১ মিনিট পর বেঁচে ফিরলেন বৃদ্ধা! পেলেন মৃত বাবা-মায়ের দেখা, ‘স্বর্গদর্শনের’ দাবি ঘিরে শোরগোল

বৃদ্ধা সমাজমাধ্যমে জানান, তাঁকে চিকিৎসকেরা ১১ মিনিটের জন্য ‘ক্লিনিক্যালি ডেথ’ বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। এই সময়টুকুর মধ্যেই তিনি ‘স্বর্গ ও নরক’ উভয়ের অভিজ্ঞতা লাভ করে ফেলেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মৃত্যুর পর মানুষ কোথায় যায়, স্বর্গ না নরক? এই নিয়ে চলে বহু আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক। জীবনের বাইরে কী আছে তার কোনও সঠিক বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। স্বর্গ এবং নরক সম্পর্কে ধারণা এখনও বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মাঝেই আটকে থাকে। মাঝেমধ্যেই কিছু ব্যক্তিগত ঘটনা উঠে আসে যা বিতর্ককে নতুন করে উস্কে দেয়। যেমনটা দাবি করেছেন ৬৮ বছরের এক বৃদ্ধা। মৃত বলে ঘোষণা করার ১১ মিনিট পর বেঁচে ফিরে ‘স্বর্গদর্শনের’ অভিজ্ঞতা কথা তুলে ধরেছেন তিনি। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়েছে নতুন করে। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

ইংল্যান্ডের বাসিন্দা শার্লট হোমসের দাবি, তিনি কিছু ক্ষণের জন্য জীবন ও মৃত্যুর মাঝের সীমানা অতিক্রম করেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা তাঁর স্মৃতিতে গেঁথে গিয়েছে। শার্লট জানান, তাঁকে চিকিৎসকেরা ১১ মিনিটের জন্য ‘ক্লিনিক্যালি ডেথ’ বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। এই সময়টুকুর মধ্যেই তিনি ‘স্বর্গ ও নরক’ উভয়ের অভিজ্ঞতা লাভ করে ফেলেছিলেন। হাসপাতালে নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করতে গিয়ে হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে যায় শার্লটের। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, যদি তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল না হয়, তা হলে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হতে পারেন তিনি। চিকিৎসকদের আশঙ্কাই সত্যি হয়। তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। চিকিৎসকেরা তাঁকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেথ’ বলে ঘোষণা করেন।

বৃদ্ধার কথায় তিনি নিশ্চল হয়ে পড়ে থাকার সময় চিকিৎসকদের তৎপরতাও টের পেয়েছিলেন। তার পরই হঠাৎ করে চারপাশের পরিবেশ বদলে যেতে শুরু করে। অপরিচিত কিন্তু সুন্দর ফুলের সুবাস পেতে শুরু করেন। মৃদু সঙ্গীতের শব্দও কানে এসে পৌঁছোয়। হোমস জানান, তিনি নিজেকে এমন একটি স্থানে আবিষ্কার করেছিলেন যা স্বর্গেরই নামান্তর। সেখানে কোনও ভয়ের চিহ্নমাত্র ছিল না। জায়গাটি শান্ত, শান্তিপূর্ণ এবং অত্যন্ত ইতিবাচক, এমন অনুভূতি হয়েছিল বৃদ্ধার। তিনি দাবি করেন ওই সময়ের মধ্যে পরিবারের মৃত সদস্য ও বাবা-মায়ের সঙ্গেও দেখা হয় তাঁর। এমনকি বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া একটি শিশুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ওই জগতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement