social media

নেটমাধ্যমে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠানো মানে যৌন হেনস্থা নয়, রায় হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের

২০১৯-এর নভেম্বরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ১৯ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের সঙ্গে নেটমাধ্যমে আলাপ হয় নাবালিকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:৫২
Share:

ফাইল চিত্র।

নেটমাধ্যমে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠালে সেটাকে যৌন হেনস্থা হিসেবে ধরা যাবে না। সোমবার এমনই রায় দিল হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট।

২০১৯-এর নভেম্বরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ১৯ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের সঙ্গে নেটমাধ্যমে আলাপ হয় নাবালিকার। ইন্ডিয়া টুডে-র প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত আদালতের কাছে দাবি করেছেন নেটমাধ্যমে ওই নাবালিকা তাঁকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠিয়েছিল। সেখানে তাঁর আসল বয়স গোপন করেছিল। অতএব এই প্রেক্ষিতে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক বলে আদালতে আবেদন করেন অভিযুক্ত।

সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল। মামলাটির শুনানি শুরু হলে বিচারপতি অনুপ চিৎকারা জানান, বর্তমানে নেটমাধ্যম ব্যবহার করা একটা স্বাভাবিক বিষয়। অর্জন এবং বিনোদনের জন্য নেটমাধ্যম ব্যবহার করে মানুষ। কাউকে যৌন এবং মানসিক হেনস্থা করার জন্য নয়।

আদালত এটাও জানিয়েছে, ভারতে ৬৬ শতাংশ নেটাগরিকের বয়স ১৫ থেকে ২৯-এর নীচে। নেটমাধ্যমে নাবালকরা অ্যাকাউন্ট তৈরি করা মানে এমনটা নয় যে তারা যৌনসঙ্গী খুঁজছে বা এ ধরনের অনুরোধ পাওয়ার ইচ্ছা রাখে।

ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তের আবেদনের উত্তরে আদালত এটাও জানিয়েছে যে, নেটমাধ্যমে বয়স লুকনো একটা স্বাভাবিক বিষয়। অভিযুক্ত যখন সশরীরে ওই নেটমাধ্যমের বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন, তখনই তাঁর বুঝে নেওয়া উচিত ছিল যে বন্ধুটি নাবালিকা। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছে, নাবালিকার বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠানো মানে এই নয় যে অভিযুক্তকে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অধিকার দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শেষে অভিযুক্ত জামিনের আবেদন করলে তা খারিজ করে দেয় আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন