নিষ্পত্তি হবে তিন তালাক থেকে রামমন্দিরের মতো মামলার, ‘ইতিবাচক’ খেহরে আশায় বিজেপি

চলতি বছরের মধ্যে তিন তালাক থেকে রামমন্দিরের মতো মামলার সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছে বিজেপি। আজ সকালে ইলাহাবাদে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের ‘ইতিবাচক’ মনোভাব প্রকাশের পর এই আশা আরও বেড়েছে বিজেপি শিবিরের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:১১
Share:

চলতি বছরের মধ্যে তিন তালাক থেকে রামমন্দিরের মতো মামলার সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছে বিজেপি। আজ সকালে ইলাহাবাদে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের ‘ইতিবাচক’ মনোভাব প্রকাশের পর এই আশা আরও বেড়েছে বিজেপি শিবিরের।

Advertisement

ইলাহাবাদ হাইকোর্টের দেড়শো বছরের অনুষ্ঠানে আজ খেহর গরমের ছুটিতে আরও কাজ করে বকেয়া মামলা নিষ্পত্তির ডাক দেন। প্রধানমন্ত্রীও আশ্বাস দেন, বকেয়া মামলা মেটাতে সরকারও সব রকম চেষ্টা করবে। এর পরেই বিজেপির এক শীর্ষ আইনজীবী নেতা দিল্লিতে জানান, গরমের ছুটিতে তিনটি সাংবিধানিক বেঞ্চ এই প্রথম বার কাজ করবে। ১৯ জন বিচারপতি থাকবেন। আর সেখানেই তিন তালাক, অসমের শরণার্থীদের এদেশে জন্মানো সন্তানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার মতো বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে শুনানি হয়ে যাবে। আর সুপ্রিম কোর্ট চাইলে চলতি বছরেই রোজ শুনানি করে রামমন্দির মামলারও নিষ্পত্তি করে দিতে পারে।

রামমন্দির নিয়ে কয়েক দিন আগে প্রধান বিচারপতি খেহর মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। যদিও পরে জরুরি ভিত্তিতে শুনানিতে রাজি হয়নি আদালত। বিজেপির মতে, সুপ্রিম কোর্ট চাইলে চলতি বছরের দ্বিতীয় ভাগে এই নিয়ে রোজ শুনানি করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে পারে। তার আগে তিন তালাক মামলাও মিটে যাবে। উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে থেকেই বিজেপি তিন তালাকের বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করেছে। ভোট প্রচারে সেটিকে কাজেও লাগিয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে তিন তালাকের ভুক্তভোগী এক মুসলিম মহিলাও প্রধানমন্ত্রী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখে এই সমস্যা মেটাতে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি এই কারণেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন।

বকেয়া মামলার বোঝা কমানোর জন্য আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি অনেক দাওয়াই দেন। ছুটির সময় বাকি আদালতেও সপ্তাহে পাঁচ দিন বসে প্রতি দিন দশটি করে মামলার সুরাহা করতে বলেন।

প্রধান বিচারপতির সুরে সুর মিলিয়ে নরেন্দ্র মোদীও জানান, ক্ষমতায় এসে তিনিও এই বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। প্রায় ১২০০ পুরনো আইন বিলোপ করেছেন। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মঞ্চে থাকা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দেন, জেলগুলিতে ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা করতে। যাতে আদালত থেকেই কয়েদিদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া যেতে পারে।

এর ফলে জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপত্তার বহরও কমবে। পথে অনেক অঘটনও রোখা যাবে। ভিডিও কনফারেন্স ব্যবস্থা চালু হলে পুরনো মামলায় অন্যত্র বদলি হওয়া কোনও অফিসারকেও সরকারি দায়িত্ব ছেড়ে আদালতে ছুটতে হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন