আবু সালেম। —ফাইল ছবি
বক্স অফিসে বিরাট সাফল্য। ব্লকবাস্টার তকমা নিয়ে চার সপ্তাহেই ৫০০ কোটির ঘরে পৌঁছে গিয়েছে ‘সঞ্জু’। তবে বিতর্কও কম হয়নি রাজকুমার হিরানির এই ফিল্ম নিয়ে। সঞ্জয় দত্তকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা, অনেক দিকই না ছোঁয়ার মতো বিষয় নিয়ে রাজকুমার হিরানির সমালোচনা করেছেন চিত্র সমালোচকরা। কিন্তু সেই অর্থে আইনি জটিলতার মুখে পড়েননি তাঁরা। এবার সেই প্যাঁচেও পড়তে চলেছেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি ও প্রযোজক বিধুবিনোদ চোপড়া। দু’জনকেই এবার মানহানির আইনি নোটিস পাঠাল আবু সালেম।
আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিস পাঠিয়ে জেলবন্দি গ্যাংস্টারের দাবি, ‘সঞ্জু’-তে অসত্য তথ্য দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁর মানহানি হয়েছে। ছবিতে বলা হয়েছে, সঞ্জয় দত্তকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েছিল সালেম। নোটিসে দাবি করা হয়েছে, এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। এতে তাঁর মক্কেলের সম্মানহানি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সালেমের আইনজীবী।
সঞ্জয় দত্তের বায়োপিকে অভিনয় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রণবীর কপুর। একটি দৃশ্যে রণবীর স্মৃতিচারণ করছেন, ১৯৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণের সময় তাঁর কাছে অস্ত্র ছিল। কীভাবে অস্ত্র পেয়েছিলেন তিনি, সেটা জানাতে গিয়েই ‘সঞ্জু’ বলেছেন, তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েছিল আবু সালেম।
আরও পড়ুন: হেমা মালিনী নাকি চাইলে এক মিনিটেই মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন!
এই দৃশ্য নিয়েই আপত্তি তুলেছে প্রোমোটার প্রদীপ জৈন হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আবু সালেম। নোটিসে দাবি করা হয়েছে, আবু সালেম কখনও সঞ্জয় দত্তকে অস্ত্রশস্ত্র দেয়নি। এমনকী, কখনও সঞ্জয় দত্তর সঙ্গে দেখাও হয়নি তার। তাই নোটিসে পরিচালক প্রযোজক–সহ অন্যান্যদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি করা হয়েছে নোটিসে। শুধু তাই নয়, নোটিস পাওয়ার ১৫দিনের মধ্যে ওই দৃশ্যটি বাদ দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে জেলবন্দি গ্যাংস্টার। না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউটিউব ভিডিও দেখে বাড়িতে প্রসব করালেন স্বামী, স্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু
দাউদের গোষ্ঠীর সদস্য আবু সালেমের জন্ম উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। প্রোমোটার প্রদীপ জৈন খুনের দায়ে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হয় তার। বর্তমানে জেলবন্দি। ১৯৯৩-এ মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণেও তার যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে।