নিজস্ব সংবাদদাতা

মিজোরামে হামলা বিচারকের বাড়িতে

অভিযুক্তকে হাতে না পেয়ে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দফতর ও বাড়িতেই হামলা চালিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। ঘটনার পরে গুয়াহাটি হাইকোর্ট অবিলম্বে লুংলে থেকে তিন ম্যাজিস্ট্রেটকে আইজলে সরিয়ে নিয়ে গেল। লংতাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেটকেও লুংলেতে সার্কিট আদালত বসাতে নিষেধ করা হয়েছে।

Advertisement
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:১৯
Share:

অভিযুক্তকে হাতে না পেয়ে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দফতর ও বাড়িতেই হামলা চালিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। ঘটনার পরে গুয়াহাটি হাইকোর্ট অবিলম্বে লুংলে থেকে তিন ম্যাজিস্ট্রেটকে আইজলে সরিয়ে নিয়ে গেল। লংতাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেটকেও লুংলেতে সার্কিট আদালত বসাতে নিষেধ করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনার শুরু বৃহস্পতিবার। জোহনুয়াই এলাকার এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে জনতার হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে সিজেএম আদালত ঘেরাও করে স্থানীয় জনতা। নিরাপত্তার খাতিরে জেলেই বিশেষ কারাগার বসিয়ে ওই প্রধান অভিযুক্তর বিচার চলছিল। অভিযুক্তকে হাতে না পেয়ে সিজেএমের দফতরে হামলা চালায় জনতা। তাঁর দফতর তছনছ করা হয়। ভাঙা হয় কম্পিউটার, আসবাব। পরে সিজেএমের আবাসে হামলা চালায়। সেখানেও ভাঙচুর চলে। এমনকী সিজেএমের স্ত্রীর মোবাইলও লুঠ করা হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনার প্রতিবাদে মিজোরাম বার অ্যাসোসিয়েশন লংতাই জেলায় সব কাজ বন্ধ রেখেছে। জোহনুয়াইয়ের বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলা ঘটনার বলেন, ‘‘এই ধরনের হঠকারি, হিংসাত্মক আচরণ মিজো সংস্কৃতির অঙ্গ নয়।’’ ঘটনার জেরে গৌহাটি হাইকোর্ট জেলা ও দায়রা বিচারক আর থাঙ্গা, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক হেলেন ডাওঙলিয়ানি ও সিজেএম আর মালসাওমডাওংজুয়ালাকে লুংলে থেকে আইজলে সরিয়ে আনে। পাশের জেলা লাওংথাইয়ের সার্কিট কোর্টও লুংলেতে বসত। তা-ও আপাতত বন্ধ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন