ফের ৭-০।
আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেসকে কার্যত দুরমুশ করে এ বারও রাজধানীর সাতটি আসনই ধরে রাখল বিজেপি। বিজেপি দিল্লিতে যে ভাবে ভোট কুড়িয়েছে এবং কংগ্রেস যে ভাবে আপকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে, তাতে আট মাস পরে বিধানসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরীবাল দিল্লি ধরে রাখতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপির প্রদেশ সভাপতি মনোজ তিওয়ারির দাবি, ‘‘লোকসভার পরে বিধানসভা জেতা সময়ের অপেক্ষা।’’
আজকের বিপর্যয়ের পর্যালোচনা করতে চলতি সপ্তাহেই বৈঠকে বসবে আপ। মানুষের সমর্থন যে চলে যাচ্ছে, তার আঁচ পেয়েই দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চেয়েছিলেন কেজরীবাল। যুক্তি ছিল, গত লোকসভায় বিজেপি ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আপ ও কংগ্রেস পায় যথাক্রমে ৩৩ ও ১৫ শতাংশ ভোট। এ বার দিল্লিতে আপ ১৮.১৪ শতাংশ ও কংগ্রেস ২২.৪৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে। সাতটি আসনে গড়ে ৫৬.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। পাঁচটি কেন্দ্রে ৫০ শতাংশ ও দু’টি কেন্দ্রে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন পদ্ম প্রার্থীরা।
রাত পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের হিসেব, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে মনোজ তিওয়ারি ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন শীলা দীক্ষিতের চেয়ে। নিউ দিল্লিতে বিজেপির মীনাক্ষী লেখী কংগ্রেসের অজয় মাকেনের চেয়ে এগিয়ে। প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা পূর্ব দিল্লির বিজেপি প্রার্থী গৌতম গম্ভীর ৫২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। সেখানে আপের অতিশী তৃতীয় স্থানে।
দিল্লির বাইরে পঞ্জাবে শুধু সাঙ্গরুর আসনে এগিয়ে আপের ভগবন্ত মান।