বুর্জ খলিফা। ইনসেটে জর্জ ভি নেরিয়াপারাম্বিল।—ফাইল চিত্র
২২টি ফ্ল্যাট আছে তাঁর। আরও কিনতে চান। চান ভাড়াটেও। দুবাইয়ের বিখ্যাত বিলাসবহুল বহুতল বুর্জ খলিফায় ফ্ল্যাট নিয়ে এমনই স্বপ্ন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী জর্জ ভি নেরিয়াপারাম্বিলের!
গরিব থেকে ধনী হওয়ার কাহিনির এক উজ্জ্বল নজির জর্জ। কেরলে এক সময়ে তুলোর ব্যবসা করতেন তাঁর বাবা। জর্জ জানাচ্ছেন, তাঁর জেলায় তুলোবীজ সকলেই ফেলে দিত। তা থেকে যে আঠা তৈরি করা যায় সেই ধারণা কারও ছিল না। নোংরা ঘেঁটে সেই তুলোবীজ সংগ্রহ করতেন তিনি। আঠা তৈরির জন্য তা বিক্রি করে অনেক সময়েই ৯০ শতাংশ মুনাফা করতেন।
সেই শুরু। ভাগ্যের খোঁজেই কেরলের অন্য অনেকের মতো ১৯৭৬ সালে আসেন শারজায়। এসেই তাঁর মনে হয়, আরবের এই গরমে শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবসাই সাফল্যের পথ দেখাতে পারে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সেই ব্যবসা দিয়ে শুরু করেই এখন ছোটখাটো সাম্রাজ্যের মালিক তিনি।
এক দিন পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় সব চেয়ে বিলাসবহুল ঠিকানা বুর্জ খলিফার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন জর্জ। সঙ্গে ছিলেন এক আত্মীয়। তিনি রসিকতা করে জর্জকে বলেন, ‘‘এখানে তুমি কোনও দিনই থাকতে পারবে না।’’
খোঁচাটা লেগেছিল। কিছু দিনের মধ্যেই ওই বহুতলে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়াটে হিসেবে চলে আসেন জর্জ। তার পরে শুরু হয় একের পর এক ফ্ল্যাট কেনা। ছ’বছরের মধ্যেই বুর্জ খলিফা-র ৯০০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ২২টি কিনে নিয়েছেন তিনি। ওই বহুতলে সব চেয়ে বেশি ফ্ল্যাট রয়েছে সম্ভবত তাঁরই।
জর্জ বলছেন, ‘‘পছন্দ মতো দামে পেলে আরও ফ্ল্যাট কিনতে পারি। কয়েকটি ফ্ল্যাটে ভাড়াটে আছেন। আরও ভাড়াটেও চাই।’’
তুলোবীজ দিয়ে ১১ বছর বয়সে শুরু করেছিলেন ব্যবসা। এখন তেঁতুল বীজ তাঁর স্বপ্নে। তা থেকে তৈরি হবে আঠা। আর তার খোলা বিক্রি হবে পশুখাদ্য হিসেবে। জর্জের কথায়, ‘‘আমার স্বপ্ন দেখার কোনও সীমা নেই।’’