NIA

NIA: ‘ঘি’ মানে বিস্ফোরক, ‘খিদমত’ মানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ! আদালতে দাবি করল এনআইএ

জঙ্গি-অর্থের উৎস সন্ধান সংক্রান্ত মামলায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র এই দাবি অবশ্য খারিজ করেছে দিল্লির আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২১ ১৫:০৮
Share:

জঙ্গি-অর্থের উৎস সন্ধান সংক্রান্ত মামলায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র দাবি খারিজ করল দিল্লির আদালত

জঙ্গি-অর্থের উৎস সন্ধান সংক্রান্ত মামলায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র দাবি খারিজ করল দিল্লির আদালত। এনআইএ-র তরফে দাবি করা হয়েছিল, পাক জঙ্গি সংগঠন ফালা-ই-ইনসানিয়ত (এফআইএফ)-এর থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁরা সাঙ্কেতিক ভাষায় কথা বলতেন। এনআইএ-র দাবি অনুযায়ী, তাঁরা ‘ঘি’ শব্দটি ব্যবহার করতেন বিস্ফোরক অর্থে। কিন্তু এই দাবির স্বপক্ষে তদন্তকারী সংস্থা কোনও প্রমাণ দিতে না পারায় তা খারিজ করে ওই চার অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিল্লির আদালত।
এই মামলায় যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের নাম— মহম্মদ সলমন, মহম্মদ সালিম, আরিফ গুলাম বশির ধর্মপুরিয়া, মহম্মদ হুসেন মোলানি। এনআইএ-এর অভিযোগ, মসজিদ তৈরির নামে এই চার জনকে প্রচুর টাকা দিয়েছিল এফআইএফ। ধৃতদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, ভারতে অশান্তি ছড়ানো। এই বক্তব্যের স্বপক্ষে মহম্মদ সলমনের মোবাইল থেকে পাওয়া দু’টি বার্তা আদালতের সামনে তুলে ধরেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ওই বার্তায় লেখা, ‘ঘি তৈরিই আছে। বোম্বের দলও চলে আসবে। ওদের হাত দিয়েই পাঠিয়ে দেব।’ আর একটি বার্তায় লেখা, ‘তুমি তো খিদমতে ছিলে। তুমি জানবে না।’

Advertisement

এনআইএ আদালতে দাবি করে, ওই বার্তায় ‘ঘি’ মানে ছিল বিস্ফোরক। ‘খিদমত’ একটি উর্দু শব্দ। এর অর্থ ‘সেবায় নিয়োজিত’। এনআইএ-র আরও দাবি, জঙ্গি প্রশিক্ষণের কথা বলতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কী পদ্ধতি অবলম্বন করে এই সাঙ্কেতিক শব্দ দু’টির অর্থ খুঁজে বার করা হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এই কারণেই তদন্তকারী সংস্থার এই দাবি খারিজ করা হয়েছে বলে জানায় আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন