উত্তরপ্রদেশে প্রিয়ঙ্কাকে প্রচারে চান গুলাম নবি

দলের কৌশল প্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রশান্ত কিশোর চেয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হোন প্রিয়ঙ্কা বঢরা। উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব পেয়ে গুলাম নবি আজাদও চাইছেন, অমেঠি-রায়বরেলির বাইরেও যান প্রিয়ঙ্কা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৬ ০৯:৫৬
Share:

দলের কৌশল প্রণেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রশান্ত কিশোর চেয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হোন প্রিয়ঙ্কা বঢরা। উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব পেয়ে গুলাম নবি আজাদও চাইছেন, অমেঠি-রায়বরেলির বাইরেও যান প্রিয়ঙ্কা।

Advertisement

রাজীব-সনিয়া গাঁধীর মেয়েকে নিয়ে এমনিতেই কংগ্রেস নেতাদের একটা টানাটানি আছে। প্রবীণ থেকে নবীন— সব নেতার আলোচনাতেই গুরুত্ব পান প্রিয়ঙ্কা। এ দিন গুলাম নবি বলেন, ‘‘অমেঠি-রায়বেলিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন প্রিয়ঙ্কাজি। আশা করি, তাঁর সময় অনুযায়ী তিনি অন্য এলাকাতেও প্রচার করবেন।’’

প্রিয়ঙ্কা শেষ পর্যন্ত কী করবেন, তা তিনিই জানেন। আর জানেন সনিয়া গাঁধী। প্রশান্ত কিশোরের প্রস্তাব ছিল, রাহুল-প্রিয়ঙ্কার মধ্যে কাউকে তুলে ধরা না হলে অন্তত কোনও ব্রাহ্মণ নেতানেত্রীকে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ করা হোক। এই অবস্থায় শীলা দীক্ষিত আজ সনিয়ার সঙ্গে আলাদা বৈঠক করায় কংগ্রেসে জল্পনা শুরু হয়, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে উত্তরপ্রদেশে মুখ করা হবে কি না।

Advertisement

কংগ্রেস সূত্রে অবশ্য খবর, সাংগঠনিক রদবদলের অঙ্গ হিসেবেই আজ শীলার পাশাপাশি কমল নাথ, মুকুল ওয়াসনিক, আনন্দ শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সনিয়া। পোড়খাওয়া নেতাদের হাতেই যে সনিয়া গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলির দায়িত্ব দিতে চাইছেন, গুলামকে উত্তরপ্রদেশ এবং কমল নাথকে পঞ্জাব-হরিয়ানার দায়িত্ব দেওয়াতেই তা স্পষ্ট। কমল নাথের সাংগঠনিক ক্ষমতার কথা ভেবেই তাঁকে পাঞ্জাবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আম আদমি পার্টি এবং বিজেপি-অকালি তাঁর বিরুদ্ধে ’৮৪-র শিখ দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগ তোলায় কমল নিজেই সনিয়াকে চিঠি লিখে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন