Forced Marriage

‘আমাকে ছেড়ে দাও’! হাউ হাউ করে কান্না, কিশোরীকে জোর করে বিয়ে, বাধা দিলেন না কেউ

হোসুরের থোত্তামাঞ্জুরের পাহাড়ি গ্রাম দিম্মাথুর। সেখানেই স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল কিশোরী। তার পর তাকে হোমে পাঠিয়ে দেন তার মা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫ ১০:৩৬
Share:

কিশোরীকে জোর করে বিয়ের অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

আপত্তি করা সত্ত্বেও বাড়ি থেকে কিশোরীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠল কর্নাটকরে হোসুরে। এই ঘটনায় কিশোরীর মা নাগাম্মা এবং আরও দুই অভিযুক্ত মাধেশ এবং মল্লেশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

হোসুরের থোত্তামাঞ্জুরের পাহাড়ি গ্রাম দিম্মাথুর। সেখানেই স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল কিশোরী। তার পর তাকে হোমে পাঠিয়ে দেন তার মা। অভিযোগ, কিশোরীর অজান্তেই পাশের গ্রামের পেশায় দিনমজুর মাধেশ নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন তার মা। বিষয়টি যখন কিশোরীর কানে যায়, তখন সে প্রবল আপত্তি করেছিল। কিন্তু তার আপত্তিতে আমল দিতে চায়নি পরিবার। কিশোরী বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় বাড়িতে এসে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যান মাধেশ এবং তাঁর ভাই মল্লেশ-সহ কয়েক জন।

পুলিশ সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে বিয়ে করেন মাধেশ। তার পর বাড়িতে ফিরে আসে কিশোরী। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে যেতে রাজি না হওয়ায় গত ৩ মার্চ কিশোরীকে আবার জোর করে তুলে নিয়ে যান মাধেশ এবং মল্লেশ। তাকে বাঁচানোর জন্য গ্রামবাসীদের কাছে কাতর আর্জি করতে থাকে কিশোরী। হাউ হাউ করে কাঁদতে থাকে সে। অভিযোগ, কিশোরীর কাতর আর্জিতেও কেউ এগিয়ে আসেননি। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ঘটনার ভিডিয়ো পুলিশের কাছে পৌঁছোতেই তৎপর হয় তারা (সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। তদন্তে নেমে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। মাধেশ, মল্লেশ, কিশোরীর মা নাগাম্মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে পকসো এবং বাল্যবিবাহ আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement